নগরবাসীর প্রতি উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রি-অ্যাসেসমেন্ট কাজে আপনাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের অভিযোগ থাকলে সরাসরি আমায় জানানোর অনুরোধ করছি।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নিজের বাড়ির পুনর্মূল্যায়ন ফরম গ্রহণের মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ সতর্কবার্তা দেন মেয়র।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স মাফ করার কোনো বিধান নেই। বিগত বছরগুলোতে যারা হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় না করে ভোটের রাজনীতির স্বার্থে নাগরিকদের শুধু বকেয়া ঋণের বোঝা বাড়িয়েছেন, তারা নাগরিকদের মারাত্মকভাবে ক্ষতি করেছেন। এখন সেই ঋণ আদায় করতে নগরবাসীকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিজেও বিভ্রান্তিতে পড়ছেন তারা।
তিনি বলেন, সিসিকের আয়ের প্রধান এই খাতের রি-অ্যাসেসমেন্ট করার বিধান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছরেও এ কার্যক্রমের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রথম মেয়াদে দীর্ঘ তিনবছর কারাবাসে থাকার কারণে রি-অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রমে হাত দিতে পারিনি। তাই দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিকেই এ উদ্যোগ নিয়েছি আমি।
সিসিকের সচিব মোহাম্মদ বদরুল হক জানান, পুরানো এবং নতুন বাসা-বাড়ির ধার্য করা হোল্ডিং ট্যাক্সের সমতা ফিরিয়ে আনতে প্রায় ৫৫ হাজার হোল্ডিং নম্বরধারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক কর ধার্য কার্যক্রম চলবে ২৭টি ওয়ার্ডে।
তিনি জানান, প্রথমদিনে সিটি করপোরেশনের ১, ২, ৪, ১৫, ১৭ ও ১৮ নং ওয়ার্ডে ৬টি টিমের সমন্বয়ে নতুন এবং পুরাতন বাসা-বাড়ির বিবরণ ও বাণিজ্যিক ভবন, স্থাপনা, জমির পরিমাণসহ বিস্তারিত বিবরণ প্রেরণের জন্য রি-অ্যাসেসমেন্ট ফরম বিতরণ শুরু করা হয়েছে।
ফরম পাওয়ার পর তা পূরণপূর্বক ৭দিনের মধ্যে নগর ভবনের অ্যাসেসমেন্ট শাখায় জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম চলবে।
এসময় সিসিকের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-৩ এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এনইউ/এমএ