বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বুলডোজার দিয়ে ওই প্রাচীরটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে করে ৫০টি পরিবারের চলাচলের রাস্তা অবমুক্ত হয়েছে।
জানা যায়, সৈয়দপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিখানা কবরস্থানটি অবস্থিত। আর ওই কবরস্থানের উত্তর প্রান্ত ঘেঁষে বিমানবন্দর পশ্চিমপাড়ার মৃত মজিবর রহমানের ৫৫ শতক জমি রয়েছে। জমিটি দীর্ঘদিন যাবৎ খোলামেলা অবস্থায় পড়েছিল। এরই মধ্যে মৃত মজিবরের তিন ছেলে মো. মহিদুর রহমান, মো. মানিক ও মো. মাসুদ তাদের পৈত্রিক ওই জমিতে আরসিসি পিলার দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। কিন্ত জায়গাটি সৈয়দপুর পৌরসভা এলাকায় হলেও সীমানা প্রাচীর নির্মাণে পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো রকম অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
যদিও নিয়ম অনুযায়ী পৌর এলাকায় পাকা অবকাঠোমো নির্মাণে আগে পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগে। ওই সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সময় সৈয়দপুর পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল-মামুন সরকার জায়গার মালিকদের পৌরসভার বিধি মেনে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য বলেন। কিন্ত জমির মালিক পৌরসভার বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
এদিকে, ওই জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কারণে এর পূর্ব ও উত্তর প্রান্তের বসবাসকারী প্রায় ৫০টি পরিবারের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই পরিবারগুলো অনেকটাই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে চলাচলের রাস্তা বন্ধের বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করা হয়।
এ অবস্থায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিধি বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা ওই সীমানা প্রাচীরটি ভেঙে দেন। পৌরসভার কাউন্সিলর আল-মামুন সরকার, আজগার আলী, কণিকা রানী সরকারের উপস্থিতিতে প্রকৌশল শাখার লোকজন বুলডোজার দিয়ে ওই সীমানা প্রাচীরটি গুঁড়িয়ে দেয়।
সৈয়দপুর পৌরসভার উপ-সহকারী কৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিধি বহির্ভূতভাবে ওই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় সেটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জমির মালিক মৃত মজিবর রহমানের ছোট ছেলে মাসুদ বাংলানিউজকে অভিযোগ করে বলেন, পৌর নিয়ম মেনেই আমরা জমির সীমানা থেকে দেড় ফুট জায়গায় ছেড়ে দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছি। তারপরও আমাদের নির্মিত সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়ে বড় অঙ্কের ক্ষতি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
এসআরএস