ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাবি ক্যাম্পাস ভালোবাসার অভিসার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
ঢাবি ক্যাম্পাস ভালোবাসার অভিসার ভালোবাসা দিবস উদযাপনে ঢাবি ক্যাম্পাসে তরুণ-তরুণীরা | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে: ইতালির সেন্ট ভ্যালেনটাইন্সের স্মৃতিকে স্মরণ করে প্রচলন হয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের। ইতিহাস জানা থাকুক আর না থাকুক ১৪ ফেব্রুয়ারি এলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও দেখা যায় দিবসটি উদযাপনের নানা আয়োজন। ছেলেদের গায়ে পাঞ্জাবি, মেয়েদের রঙিন শাড়ি, মাথায় ফুলের টায়রা, হাতে হাতে লাল টকটকে গোলাপ। সবমিলিয়ে পুরো ক্যাম্পাস যেন ভালোবাসার মঞ্চ।

বসন্তের ফুরফুরে হাওয়া হৃদয়ে জাগায় ভালোবাসার পরশ। সেই সাথে ভালোবাসা দিবস মানব মনকে করে তোলে আবেগী।

কেউবা প্রিয়জনের হাতে গোলাপ কিংবা সামান্য উপহার দিয়ে জানান দেয় নিজ ভালোবাসার। আবার অনেকে ভালোবাসা দিবসকে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে চান না। কিছুটা প্রতিবাদ করেই তারা বলেছেন, ভালোবাসা হোক সবার তরে, সবসময়ে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে তরুণ-তরুণীদের আনাগোনা ছিল দেখার মতো। দিবসটিকে ঘিরেই নিয়মিত ফুল বিক্রেতাদের পাশপাশি মৌসুমী হাকাররাও নেমেছে। ‘হার্ট’ চিহ্নিত রংবেরঙের বেলুনও যুগলদের হাতে তুলে দিচ্ছে তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কার্জন হল কিংবা বটতলার ছায়ায় তরুণ-তরুণীরা প্রিয়জনের হাতে হাত রেখে বুনছেন ভবিষ্যতের সোনালি স্বপ্ন। চোখে চোখ রেখে বলছেন এ জীবন তোমারি তরে। কেউবা প্রিয়জনকে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গাইছেন— এ পথ যদি শেষ না হয়...
ভালোবাসা দিবস উদযাপনে ঢাবি ক্যাম্পাসে এক যুগল | ছবি: ডিএইচ বাদলঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র জাহিদ ও তমার মধ্যে সখ্যতা বছর দুই ধরে। তারা প্রতিদিনই একে অপরকে ভালোবাসেন তবে আজকের দিনটি তাদের কাছে বিশেষ বলেই জানান তারা। কেউ আবার পছন্দের মানুষকে মনের কথা জানাতে বেছে নিয়েছেন ভালোবাসা দিবসকেই।

অন্যদিকে অনেকে সংগঠিত হয়ে ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাইছেন সবার কাছে। টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘লাভ ফর অল’ টি-শার্ট পরে হাতে গোলাপ নিয়ে মানববন্ধন করেছেন এভারগ্রিন জুম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। সংগঠনটির সদস্য তেজগাঁও কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শরীফ খান বাংলানিউজকে বলেন, ভালোবাসা হোক সবার জন্য। বাবা-মা, ভাই-বোন, প্রিয়জন থেকে শুরু করে দিনমজুর-কৃষক সবার জন্যই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম খান বলেন, সব দিনই ভালোবাসার। তবে ভালোবাসা দিবস নামে আলাদা দিন থাকলে তাতে মন্দ কিছু নেই। কেননা বিশেষ একটি দিনে যদি কাছের এবং ভালোবাসার মানুষকে একটু আলাদাভাবে নিজেকে প্রকাশ করা যায় নিজেদের সম্পর্কটা গাঢ় হয়। তবে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে ভালোবাসা পৌঁছে দিতে পারলে দিবসটি পূর্ণতা পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
এসকেবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।