বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার (ইউপিআর) পর্যবেক্ষণ কাঠামো তৈরির লক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন।
ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের সহায়তায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল, ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডারের এশিয়া বিভাগের সুরক্ষা সমন্বয়ক সাইয়েদ আহমেদ, আর্টিকেল নাইনটিনের প্রোগ্রাম অফিসার আনোয়ার রোজেন প্রমুখ।
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন গ্রেফতার না হয় সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর কোনো জাহালম যেন গ্রেফতার না হয়। আর কোনো বাদল ফরাজী যেন গ্রেফতার না হয়। নিরাপরাধ মানুষ গ্রেফতার হলে, তার জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। তাই কোনো নিরাপরাধ লোক গ্রেফতার হলে, যিনি গ্রেফতার করছেন, তাকেও বিচারকের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের কারাগারে ধারণ ক্ষমতা ৫৭০ জন। অথচ সেখানে বন্দি ৪ হাজার ২০০ জন। ধারণ ক্ষমতার ৮ গুণ বেশি মানুষ সেখানের কারাগারে রয়েছেন। তাই গ্রেফতারের আগে যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বাংলাদেশের সার্বজনীন মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয়ে মতামত দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
টিআর/আরবি/