শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে সদর উপজেলার মাছিনগর গ্রামের মাছিম শাহ ফকির বাড়ি জামে মসজিদে এ মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
চাচাতো ভাইদের হামলায় আহত হয়ে গত বছর এদিনে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত পলাশ সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মাছিমনগর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিলো ২৫ বছর।
তরুণ এ সাংবাদিক ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক রূপবাণী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের বিএ (ডিগ্রি) কোর্সের ফলপ্রার্থী ছিলেন।
ঘটনার দিন গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পলাশদের বাগানের গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে তার দুই চাচাতো ভাই আবু ইউছুফ ও আবু ছায়েদ। বাধা দিলে পলাশের বৃদ্ধ বাবাকে তারা ইট নিক্ষেপ করে। এতে তিনি আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। এসময় বাবাকে উদ্ধার করতে গেলে চাচাতো ভাইয়েরা পলাশকে রড দিয়ে মাথায় ও বুকে আঘাত করে। এতে তাৎক্ষণিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে পলাশ। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে মাছিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানতে চাইলে বাদী পক্ষের আইনজীবী আরিফুর রহমান জানান, পলাশ হত্যার মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলার প্রধান আসামি কারাগারে ও অন্যজন জামিনে আছে।
সাংবাদিক পলাশের সহকর্মী, গ্রামবাসী, পরিবার ও স্বজনদের প্রত্যাশা দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এসআর/ওএইচ/