বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় গাইবান্ধার বাসিন্দা আটক রাজুর কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ভুয়া রেজিস্ট্রেশনকরা ১২টি সিম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মোহাম্মদ সাইফুল মালিক জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে র্যাবের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয় দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মকর্তা ও প্রতিনিধির কাছে ফোন করে দুর্নীতির মামলা রুজু বা মামলার তদন্তের কথা বলা হচ্ছে। এভাবে ভয় দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায় ও হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায় দুদক।
র্যাব সদর দফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে র্যাব-২। এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজু নামের ওই প্রতারককে আটক করা হয়।
আটক রাজু মিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন ধরে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তা বা প্রতিনিধিকে মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থআদায় ও হয়রানি করে আসছিল। তার মোবাইলের সিম বিক্রয় ও বিকাশ এজেন্ট থাকার সুবাদে বিভিন্ন নিম্নবিত্ত মানুষের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে ভুয়া সিম ও বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতো। আর সেসব সিম ও বিকাশ অ্যাকাউন্টে চলতো তার অভিনব প্রতারণা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
পিএম/এসএইচ