শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আপিলের শুনানি শেষে তার মনোনয়নপত্রটি বৈধ বলে ঘোষণা করে বাছাই কমিটি।
রফিকুল আলম আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় তিন জনকে টপকে মনোনয়ন পান রফিকুল আলম। এ মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ১০ ফেব্রুয়ারি (রোববার) আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের কয়েক দফায় সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক ও ৩ পুলিশসহ ৩০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৪ জনের নামসহ অজ্ঞতনামা দেড়শ’ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে।
পরে মঙ্গলবার (১২ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রফিকুল আলমের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করে যাচাই বাছাই কমিটি। পরে তার মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিকুল আলম। সেই আপিলের শুনানি শেষে তার মনোনয়নটি বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
প্রার্থী রফিকুল আলম বাংলানিউজকে জানান, মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জের আপিলের শুনানিতে তার মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করে উপজেলাবাসীকে কৃতার্থ করেছে বাছাই কমিটি। কারণ অহেতুক বাছাইয়ের নামে অবৈধ ঘোষণা করায় নৌকাপ্রেমী উপজেলাবাসী হতাশায় পড়েছিল। আর হতাশা নয়, বাস্তবে বিজয়ে পথে আরো এগিয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রীর নৌকা প্রতীক।
রির্টানিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার মঞ্জুরুল হাসান বাংলানিউজকে আপিল শুনানির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চুড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়ে গেলেন তিনজন প্রার্থী। এরা হলেন, রফিকুল আলম (আওয়ামী লীগ), ফারুক ইমরুল কায়েস (আ'লীগ বিদ্রোহী) ও নিগার সুলতানা রানী (জাপা)।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
আরএ