মুগদা-কমলাপুরের পথচারীদের পারাপারের ফুটওভার ব্রিজটি সম্প্রতি ঘুরে দেখা যায়, ব্রিজটির একপাশ অবৈধভাবে দখল করে বসেছে প্রায় ৪০টি দোকান। সেখানে ওজন মাপার যন্ত্র, নামাজ পড়ার টুপি, আতর, তসবিহ থেকে শুরু করে মোজা-গেঞ্জি, শার্ট, ব্রাশ, বিছানার চাদর, মোবাইল ফোন অ্যাক্সেসরিস এমনকি শাক-সবজি, ডিম, খেজুর, খেজুরের গুড়সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বসেছেন হকাররা।
এই ব্রিজ নিয়মিত ব্যবহারকারী খিলগাঁয়ের বাসিন্দা মো. শুক্কুর বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর-বিকেলে ব্রিজটি দিয়ে হাঁটা যায়, পারাপার হওয়া যায়। কিন্তু সন্ধ্যেবেলা দোকানের ভিড়ের জন্য এখান দিয়ে হাঁটা যায় না। কোনো না কোনো মহল এখানে দোকান বসিয়ে হকারদের কাছ থেকে মাসোহারা নিচ্ছে, এই অবৈধ দখল ব্যবসা পরিচালনা করছে।
পথচারী ফারজানা ইসলাম বলেন, এই দোকানগুলোর জন্য ঠিকভাবে হাঁটা-চলা যায় না। ব্রিজটি সরু লগে। এখানে ভিড় লেগে থাকে। অন্য কোনো ব্রিজ থাকলে এ ব্রিজ ব্যবহার করতাম না। ভ্রাম্যমাণ আলু বিক্রেতা মো. জামান বাংলানিউজকে বলেন, দিনের বেলা ব্রিজে দোকানদারি করি। রাতে পাহারা দেই, ছিনতাই ঠেকাই আর গাঁজাখোর তাড়াই। তবে ব্রিজের একদিক থেকে তাড়াই তো অন্যদিক থেকে ব্রিজে উঠে মাদকসেবন করে নেশাখোররা। ব্রিজ পাহারা দেই বলে আমাদের এখানে বসতে কোনো টাকা দেওয়া লাগে না।
কারা এই হকারদের এখানে বসিয়েছে জানতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংশ্লিষ্ট ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সিরাজুল ইসলাম ভাট্টির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কারা বসছে এই ব্রিজে আমি জানি না। হকার বসলে রেলওয়ে পুলিশকে টাকা দিয়ে বসতে পারে। কোনো ফুটপাত বা ব্রিজে কি এমনি কেউ বসতে পারে? প্রশাসনকে টাকা দিয়ে বসে।
যোগাযোগ করলে ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, ফুটওভার ব্রিজটি আমাদের রেলওয়ের জায়গায় নয়। রেলওয়ের যে কোনো সম্পদ উচ্ছেদ করে রেলওয়ে স্টেট বিভাগ। এই ব্রিজটি সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি। আমাদের অংশে বসে না। ব্রিজটির পূর্ব পাশে সিটি করপোরেশনের অংশে বসছে অবৈধ দোকান। স্থানীয় ছেলেরা ফুটওভার ব্রিজে হকারদের বসতে দিয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ কোনো হকার বসায়নি। আমরা ছিনতাই রোধের জন্য কমিউনিটি পুলিশ করে দিয়েছি। তারাই ব্রিজ পাহারা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এমএমআই/এইচএ/