শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একাডেমির নজরুল মঞ্চে কবির মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, আমরা ৪৭ সালের পরে পূর্ব পাকিস্তানে নব কবিতার যে আন্দোলন শুরু হয়, পঞ্চাশের দশকে আল মাহমুদ তার অগ্রগণ্য কবি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, আল মাহমুদ আমাদের লোক জীবনকে শহর জীবনের কাছে যে মাত্রায় উপস্থাপন করেছেন তা এক অভিনব ব্যাপার ছিল। সেজন্যই আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের অনন্য কবি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিলেন। আগামীদিনে আমরাও আশা করি পরবর্তী প্রজন্ম তার পাঠের ভেতর দিয়ে বাংলা সাহিত্যের সারাংশ শুধু নয়, উপজীব্য বিষয়গুলো কিঞ্চিৎ হলেও লাভ করবে। আল মাহমুদ কবি ছিলেন। কবি হিসেবেই তিনি বাঙালির কাছে বেঁচে থাকবেন।
রাষ্ট্রীয় সম্মানের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, রাষ্ট্র এমন কোনো অবকাঠামো না যা জনগণের বাইরে। জনগণ যখন একজন কবিকে বিবেচনায় নেয়, কবি হিসেবে মানেন। ধরে নেবেন রাষ্ট্রযন্ত্র তাকে মেনে নিয়েছে। রাষ্ট্রকে আলাদা করেও দেখবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
এসকেবি/এএটি