যে কোনো সময় নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে পুরো সাইক্লোন শেল্টারটি। এতে আতংকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙন আতংকে দিন কাটাচ্ছেন উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের আশোয়ার, হানুয়া, রৈভদ্রাদি ও বান্নাসহ কয়েকটি গ্রামের নদী পাড়ের বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে দাসেরহাট বাজারের যাত্রী ছাউনি। নদী ভাঙনের কারণে ওই এলাকার বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ, খেলার মাঠ ও পানের বরজ নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, প্রভাবশালী কতিপয় বালু খেকোরা ভাঙন কবলিত এলাকার নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় নদীর ভাঙন ক্রমেই বাড়ছে। ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নদী পাড়ের বাসিন্দারা প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। আশোয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই বালু খেকোদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সমন্বয়ে ভাঙন এলাকায় বাঁধ দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও জানান ইউএনও মাসুমা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/