শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রবিউল ওই এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, আসামি রবিউলের স্বীকারোক্তি এবং সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃণাল কান্তি দে বাংলানিউজকে বলেন, সিআরপি বিধান মতে, কোনো জনপ্রতিনিধি দণ্ডপ্রাপ্ত হলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তার সদস্য পদ রহিতসহ বরখাস্ত হবেন।
অভিযানে দায়িত্বরত নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাংলানিউজকে বলেন, আসামি রবিউল ইসলমের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মাদক বিক্রি ছাড়াও নানা অপরাধে জড়িত থাকার অসংখ্য অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে।
পুলিশ রেকর্ড সূত্রে জানা যায়, ইতোপূর্বে রবিউল ইসলাম শহরের পিয়ারাতলার একটি হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশ হয়েছিল। পরবর্তীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপতি ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন।
কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী বাংলানিউজকে বলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম মাদক সেবন এবং বিক্রির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন বিষয়টি শুনেছি। ঘটনা যাই হোক না কেন, আইন তার আপন গতিতে চলবে এটাই স্বাভাবিক। জনপ্রতিনিধিদের এ জাতীয় কাজে জড়িয়ে পড়া অনভিপ্রেত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
জিপি