শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল মাদ্রাসা বাজারের মাসজিদ এলাকা থেকে সিটিটিসির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম দল তাদের আটক করে।
আটকরা হলেন- নব্য জেএমবির সিলেট এলাকার আঞ্চলিক কমান্ডার আল আমিন (২৭) ও শেখ গোলাম হোসেন ওরফে মিলাদ (২৭)।
সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম জানান, নব্য জেএমবির ঢাকার নেতারা মাতুয়াইল এলাকায় মিলিত হয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টার্গেট কিলিং ও বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর পরিকল্পনা করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম টিমের সদস্যরা মাতুয়াইল মাদ্রাসা বাজারের মাসজিদ এলাকায় গিয়ে আল আমিনকে আটক করে। এসময় তার সঙ্গে আরো দু’জন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান।
আল আমিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, সে ফেসবুকে বিভিন্ন উস্কানি ও আক্রমণাত্মক লেখা পোস্ট দিতেন। সাইফ ওরফে বাবুল নামে একজনের মাধ্যমে ২০১৫ সালে জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হন তিনি। পরে উসামা ওরফে তাসকিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পর্যায়ক্রমে জঙ্গি আব্দুস সালাম, ফয়জুল্লাহ, মিলাদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে তারা সমন্বিতভাবে বিভিন্ন নাশকতা কার্যক্রমের কর্ম-পরিকল্পনা করছিলেন। তারা পরস্পরের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জার, টেলিগ্রাম, থ্রিমা অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন।
টেলিগ্রামে বাংলার মুজাহিদ, সালাউদ্দিনের ঘোড়া, সবুজ পাখি নামে একাধিক গ্রুপ ছিল তাদের। উসামা ওরফে তাসকিন এবং সাইফ ওরফে বাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আ. সালাম, ফয়জুল্লাহ ও মিলাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নব্য জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন আল আমিন।
পরে আল আমিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডেমরার স্টাফ কোয়াটারের একটি সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে মিলাদকে আটক করা হয়। সে আল আমিনের নেতৃত্বে আব্দুস সালাম ও ফয়জুল্লাহসহ কয়েকজন জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে (নং-৬১) মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান এডিসি নাজমুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
পিএম/আরবি/