শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ৩টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ এলাকার গড়াই নদীর চরে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদ, এসআই আতিকুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামরুজ্জামান ও কনস্টেবল ইমরান হোসেন।
নিহত নাজমুল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার মিরাজ মালিথার ছেলে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, গভীররাতে শালদহ এলাকার গড়াই নদীর চরে দু’দল মাদকবিক্রেতার মধ্যে গুলি বিনিময় হচ্ছিল। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে নাজমুল নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন এবং অন্য মাদকবিক্রেতারা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আহত নাজমুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্য আহত হন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়শ’ পিস ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, পিস্তলের দুই রাউন্ড গুলি ও দু’টি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে নিহত নাজমুল জেলার শীর্ষ মাদকবিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এসআই