ফলে কোনো হাজিরা না থাকলেও নিয়মিতই বেতন-ভাতা গ্রহণ করছেন ওই অফিস সহায়ক। বিষয়টি সম্প্রতি ফাঁস হওয়ার পর কলেজ ক্যাম্পাসে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী আব্দুল মোতালাব জানান, ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থেকে বদলি হয়ে ফরেনসিক বিভাগে আসেন রীনা আক্তার। কিন্তু বিভাগীয় প্রধান তার যোগদানপত্র গ্রহণ করেননি। ফলে বিভাগে কোনো হাজিরা নেই তার।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) হিসাব রক্ষক তাফাজ্জল হোসেন জানান, অফিস সহায়ক রীনা আক্তার কাজে যোগ দেননি এমন কোনো চিঠি আমাদের কাছে নেই। ফলে নিয়মিতই তিনি বেতন পাচ্ছেন।
তবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সচিব মো. জহুরুল হক জানান, মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় ওই অফিস সহায়ককে ফরেনসিক বিভাগে বদলি করা হয়েছিলো। কিন্তু বিভাগীয় প্রধান তা মেনে না নেওয়ায় তার কাজে যোগ দেওয়া হয়নি।
কলেজটির ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কেন বেঁকে বসেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিভাগটির একাধিক সূত্র জানায়, রীনা আক্তার ২০০৪ সালের ৯ নভেম্বর চাকরিতে যোগ দিয়ে দাপটের সঙ্গে চাকরি করেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্টসহ সব বিষয়ে তার বিরুদ্ধে বাণিজ্যের অভিযোগে তিনি বিতর্কিত হয়ে পড়েন।
তবে এ ব্যাপারে কলেজটির ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী গোলাম মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
যদিও এ বিষয়ে অফিস সহায়ক রীনা আক্তার বলেন, আমি চাকরির শুরু থেকেই ফরেনসিক বিভাগে ছিলাম। পরে বদলি হয়ে অন্য বিভাগে গেলেও সম্প্রতি ফরেনসিকে আবারও আমার বদলি হয়। কিন্তু সেখানের স্যার আমার যোগদান নেননি। অন্য কোনো বিভাগে আমাকে বদলিও দেওয়া হয়নি। তবে নিয়মিত আমি অধ্যক্ষ স্যারের অফিসে হাজির দিচ্ছি। তিনি একটা ব্যবস্থা করবেন বলেছেন।
জানতে চাইলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিভাগীয় প্রধান তার যোগদানে আপত্তি তুলেছেন কথাটা ঠিক। আপত্তির কারণে তিনি যোগদান করতে পারেননি। তবে তিনি আমাদের কলেজে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণেই তার বেতন হচ্ছে। আমরা তাকে কলেজের হোস্টেলের অফিস সহায়ক হিসেবে দু-এক দিনের মধ্যে বদলি করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এমএএএম/আরআর