রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে সকালে ‘দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ও নেতৃত্বের সাফল্য’ শীর্ষক সেমিনারে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, এদেশে আর দুর্নীতি হতে দেওয়া যায় না, সবকিছু ডিজিটাল হলে দুর্নীতি অচিরেই কমে যাবে, তবে তার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে, যা শেখ হাসিনা সরকারের রয়েছে।
‘বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি মোকাবেলা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু আইন দিয়ে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়, শাস্তি দেওয়া সম্ভব’।
মন্ত্রী আরও বলেন, গত দুই দশকের বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন সম্ভব হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে কোনো আপস নয়। আমি শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠ্যপুস্তকে দুর্নীতিহীন আদর্শের কথা ও এর ভবিষ্যৎ ফল সম্পর্কে পাঠ যুক্ত করার অনুরোধ জানাবো।
আইনমন্ত্রী তথ্য অধিকার আইনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এটি একমাত্র আইন যা জনগণকে ক্ষমতায়িত করে, কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করে জনগণের তথ্যের অধিকার বাস্তবায়ন করতে। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
আলোচনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান রাজনীতি ও দুর্নীতিকে আলাদা রাখার তাগিদ দিয়ে বলেন, দুর্নীতি ও রাজনীতিকে একসঙ্গে মেলাবার সুযোগ নেই। রাজনীতিকে রাজনীতির মত থাকতে দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষ, কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রশিদ আসকারী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায় এবং কৃষি- অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ডক্টর জাহাঙ্গীর আলম।
বাংলাদেশ, সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
ডিএসএস/এসএইচ