ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডিএনসিসি'র 'নগরিয়া'র ২য় সংখ্যা পৌঁছে দেবে ডাকবিভাগ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
ডিএনসিসি'র 'নগরিয়া'র ২য় সংখ্যা পৌঁছে দেবে ডাকবিভাগ  নগরিয়ার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথিরা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অন্তর্গত নগরবাসীকে ডিএনসিসির কর্মকাণ্ড এবং প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সম্বন্ধে বিস্তারিত জানাতে ত্রৈমাসিক পত্রিকা 'নগরিয়া'র দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো এবারও মোট আড়াই লাখ পত্রিকা ডাক বিভাগের সহযোগিতায় নগরের হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানকারীদের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। 

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গুলশান-২ এ অবস্থিত ডিএনসিসির কার্যালয়ে নগরিয়ার মোড়ক উন্মোচন ও ডাক বিভাগের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. মাসুদ খান‌, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম এ রাজ্জাক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, পত্রিকাটি প্রকাশের সহযোগী সংস্থা জাপানের 'সিডস এশিয়া'র পক্ষে নিহারু প্রমুখ।  

এ সময় ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া বলেন, নগরবাসীর সঙ্গে বন্ধন স্থাপনের লক্ষ্যে আমাদের এ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। সাধারণত দেখা যায় সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা তাদের তথ্য জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করতে চায় না। কিন্তু আমরা সে ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে জনগণকে আমাদের সব কিছু জানাতে চাই। আমরা নগরবাসীর কাছে সব তথ্য পৌঁছে দিতে চাই। আগামী সংখ্যা থেকে বিদেশি সাহায্য হয়তো থাকবে না তবু আমরা এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবো।  

এসময় তিনি এই পত্রিকার প্রচার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংখ্যা এবং তথ্য আরও বাড়ানো হবে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান।  

অনুষ্ঠানে সিডস এশিয়ার প্রতিনিধি নিহারু বলেন, এটা একটা ভালো কার্যক্রম ছিল নগরবাসীর কাছে তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে। প্রথম সংখ্যা বের করা তা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। দ্বিতীয় সংখ্যাটি সম্পন্ন করতে পেরে আমরা অনেক খুশি।  

অনুষ্ঠানে নগরিয়ার মোড়ক উন্মোচনের পর ডাক বিভাগের কাছে আড়াই লাখ পত্রিকা হস্তান্তর করা হয়।  

নগরবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. মাসুদ খান‌ বলেন, ডাক বিভাগ নগরবাসীর কাছে সরকারের নির্ধারিত সবচেয়ে কম খরচের প্যাকেজে এই পত্রিকাগুলো পৌঁছে দেবে। এক্ষেত্রে সরকারের রাজস্ব বিভাগের কাছ থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানকারী ব্যক্তিদের ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং খুব দ্রুত তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সরকারের সেবাগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে ডাক বিভাগ এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সবসময় সহযোগিতা করে আসছে এবং করবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।