সংস্থটির উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বাংলানিউজকে বলেন, অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন করায় গত বছর নদী তীরবর্তী এলাকায় বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের কবলে পড়ে শত শত পরিবার ভিটেমাটিহীন হয়।
নদীটি মহাসড়ক ও রেলসেতু সংলগ্ন হওয়ায় মাটি ও বালু তোলার ফলে ব্রিজ ও রেলসেতু অচিরেই হুমকির সম্মুখীন হবে— এলাকাবাসীর এমন অভিযোগ পাওয়ার পর দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন।
দুদক টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম প্রথমে ১১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালায়।
এ সময় দুদক টিম লক্ষ্য করে, ওই এলাকায় অবৈধভাবে মাটি ও বালু তোলার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় গভীর গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে বালু তোলা হয় বলে স্থানীয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর প্রেক্ষিতে প্রশাসন ও দুদক গত সপ্তাহে এবং সোমবার অব্যাহত অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া দুদক টিম স্থানীয় জনসাধারণকে বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে সচেতন করে এবং এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেয়।
এ অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নদ-নদী দখলের পেছনে দুর্নীতি ফ্যাক্টর। দুদক এ দুর্নীতির চক্র ভাঙতে অভিযান অব্যাহত রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
আরএম/এমজেএফ