সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এসব মরদেহ দেখতে পান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল মোদাচ্ছের আলী কবির বাংলানিউজকে জানান, রাতে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা হাসপাতালের পশ্চিম পাশে কেন্দ্রীয় পানির ট্যাংকের পাশে থাকা ডাস্টবিনের ময়লা অপসারণ করছিলেন। এ সময় তারা ময়লার ভেতরে বালতি ভরা অপরিণত শিশুর মরদেহগুলো দেখতে পান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান তারা।
‘আমরা দেখেছি ওখানে ২২টি অপরিণত শিশুর মরদেহ রয়েছে। তবে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দাবি-মৃতদেহের সংখ্যা আরও বেশি। ’
মোদাচ্ছের কবির বলেন, ‘অনেক মায়েদের ইনকমপ্লিট বাচ্চা জন্মায়। যা অনেক সময় পরিবারের লোকেরা নিয়ে যায়। আবার অনেকে ফেলে যায়। রেখে যাওয়া বাচ্চাগুলো দিয়ে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস নেওয়া হয়। পরে তা কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাটি চাপা দেওয়া হয়। ’
‘কিন্তু বাচ্চাগুলোর মরদেহ মাটি চাপা না দিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হলো কেন? সে বিষয়টি আমার জানা নেই। ’
তবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই স্থানেই মরদেহগুলো মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড মাস্টার মোদাচ্ছের কবির।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বরিশাল মহানগর পুলিশের (বিএমপি) কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শেবাচিমের ময়লার স্তূপে একটি বালতি থেকে সব মিলিয়ে ৩১ অপরিণত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯/আপডেটেড: ২২৪১ ঘণ্টা
এমএস/এমএ/এসএইচ