তিনি বলেছেন, চট্টগ্রামের এই পুরোনো সার্কিট হাউজকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর করা অত্যন্ত লজ্জাসকর ব্যাপার ছিল। আমি এই সার্কিট হাউজটিকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের পরিবর্তে চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর করার প্রস্তাব করছি।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ এ প্রস্তাব করেন।
চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য মোফাররফ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এ সর্কিট হাউজে ২৬ মার্চ বেলা ২টা ১৫ মিনিটে আমাদের চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান, আতাউর রহমান খান কায়সার সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর সেই স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ১২টার মধ্যে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে পাই। পরে আমরা রিকশায় চড়ে মাইকে করে প্রচার করতে থাকি। সেই সার্কিট হাউজকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর করা হয়েছে। এটা আমি মনে করি অত্যন্ত লজ্জাসকর ব্যাপার হয়েছে। কয়েক শ’ বছরের পুরনো এটি। ২৬ মার্চের পর দিন ২৭ মার্চ আমি ও মেজর রফিক এবং এম এ হান্নানসহ আমরা সেই সার্কিট হাউজে গিয়ে প্রথম পতাকা উত্তলন করি। সেখানে পাক হানাদারদের টর্চার সেল ছিল। তাই সার্কিট হাউজকে চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর করতে হবে। আমাদের চট্টগ্রামে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাদের স্মৃতি সেখানে প্রদর্শিত হবে। সার্কিট হাউজের ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে। তবে সেখানে জিয়াকে হত্যা করা হয়েছিল, কি কারণে হত্যা করা হয়েছিল জানি না। যেখানে জিয়াকে হত্যা করা হয়েছিল সেই জায়গাটুক স্মৃতি চিহ্ন ধরে রাখা যেতে পারে, এতে আমাদের আপত্তি থাকবে না।
বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানিতে রাজনীতি থেকে অবসরের কথা বলেছেন। কিন্তু আমরা তাকে ছাড়বো না। তিনি না থাকলে আজ আমরা এতো উন্নয়ন কতে পারতাম না। দেশ এতো এগিয়ে যেতো না। দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এসকে/এসএইচ