এমনই আবহাওয়া ভর করেছে রাজশাহীর ওপর। তার মধ্যে আবার বুধবারের (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালটা ঢাকা পড়েছে ঘন কুয়াশার চাদরে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বুধবার রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৩৬ মিনিটে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।
কুয়াশার কারণে বর্তমানে দৃষ্টিসীমা ২শ’ মিটারের নিচে নেমে এসেছে। ভোর থেকে প্রধান সড়কগুলোতে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। কুয়াশা যেন আড়মোড়া দিয়ে প্রকৃতির সব কিছুকে ঢেকে রেখেছে। ফলে আমের মুকুলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এ সময় কুয়াশা পড়লে আমের মুকুলে পাউডারি মিলডিউ রোগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বাংলানিউজকে জানান বুধবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে দিনের তাপমাত্রা এখন ধীরে ধীরে বাড়ছেই।
এক প্রশ্নের জবাবে রাজীব খান বলেন, মাঘের শেষে ফাল্গুনেও এমন কুয়াশা পড়া অনেকটায় স্বাভাবিক। সাধারণত এই কুয়াশা শীতের বিদায় বারতারই জানান দিচ্ছে। প্রকৃতিতে কুয়াশার ঘোর কাটলেই ১০/১২ দিনের মধ্যে রোদের তীব্রতা দ্বিগুণ হবে বলেও জানান এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
এসএস/এমজেএফ