বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন।
প্রার্থীরা বলছেন, প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করবেন এবং আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন তারা।
রাজশাহীর আট উপজেলার প্রার্থীতা প্রত্যাহার শেষে এবার ৬৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩০ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ১৮ জন প্রার্থী।
এদিকে চেয়ারম্যান পদে মোহনপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম ও বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী লায়েব উদ্দিন লাভলু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গোদাগাড়ী উপজেলায় সুফিয়া খাতুন, মোহনপুর উপজেলায় সানজীদা রহমান ও বাগমারা উপজেলায় নাছিমা আক্তার জয়ী হয়েছেন।
আগামী ১০ মার্চ রাজশাহীর আট উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহীর আটটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩৭ জন এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন। আপিলেও তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।
রাজশাহী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বুধবার থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন। প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে চলছেন কী না তা দেখার জন্য প্রতিটি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
তবে প্রতীক বরাদ্দের সময় নিজ নিজ এলাকায় সহাবস্থানে থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
এসএস/আরআইএস/