বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাভার থেকে এক ব্যবসায়ীর প্লাস্টিকের দানা নিতে চকবাজারের ওয়াহিদ ম্যানশনের নাহিদ মিয়ার দোকানে এসেছিলেন তিনি।
এসময় দোকানের শ্রমিক বাইরে থাকায় নাহিদ শহিদকে বলেছিলেন, চা পান করে আসেন কোথাও গিয়ে, মাল তোলার শ্রমিক নেই, তারা আসতেছে।
তখন শহিদ এবং তার সঙ্গী এখানে পিকআপটি রেখে অন্যত্র চা পান করতে চলে যান। আর এতেই প্রাণে বেঁচে যান তারা। তবে শহিদের পিকআপটি পুড়ে যায়। সেইসঙ্গে ওই দোকান মালিক নাহিদ নিজেও আগুনে পুরে মারা যান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চালক শহিদ বাংলানিউজকে বলছিলেন, মালিক মাল বোঝাই করতে একটু দেরি হবে জানিয়ে চা পান করার পরামর্শ দেন আমাদের। তখন আমার ছোট ভাই দুদুকে নিয়ে হোটেলে চা পান করতে গেলে হঠাৎ শব্দ শুনি। এসময় সবাই দৌড়ে বেরিয়ে যাই। ততোক্ষণে পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, যদি দৌড়ে বাইরে বের না হতাম, তাহলে আমি মারা যেতাম। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। তবে যার কাছ থেকে প্লাস্টিকের দানা নিতে এসেছিলাম, সেই নাহিদ ভাই মারা গেছেন।
উপার্জনের একমাত্র সম্বলটি হারিয়ে শহিদ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার পর চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে এ ট্র্যাজেডির সূত্রপাত হয়। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ৪১ জন। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় ১৪ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে দমকল বাহিনী।
বাংলাদেশ সময় : ১৪০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১,২০১৯
টিএম/টিএ
***চকবাজারে আগুন: বেড়েই চলেছে লাশের সারি
***যেন কোনো মৃত্যুপুরীতে কঙ্কাল আর কঙ্কাল
***বার্ন ইউনিটের ৯ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক
***আরও সতর্ক-মনযোগী হবো: ওবায়দুল কাদের
***চকবাজারের আগুন ‘ওয়েক আপ কল’
***নিরাপদ আশ্রয়ই কাল হলো তাদের
***ঢামেকে মরদেহ রাখার অধিকাংশ ফ্রিজ নষ্ট, সংরক্ষণে সমস্যা
***চকবাজারে নিহত শ্রমিকদের পরিবার পাবে ১ লাখ টাকা
**‘কেমিক্যাল কারখানা সরাতে সহযোগিতা করা হবে’
***আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় চকবাজারের ভয়াবহ আগুন
***সরকারের দায়িত্বহীনতায় চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড: ফখরুল
***অগ্নিকাণ্ডে হতাহত: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
***৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার, আরও থাকতে পারে: আইজিপি