ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাট জাদুঘরে শতাধিক প্রত্নসামগ্রী হস্তান্তর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
বাগেরহাট জাদুঘরে শতাধিক প্রত্নসামগ্রী হস্তান্তর নিজেদের সংগ্রহ করা শতাধিক প্রত্নসামগ্রী বাগেরহাট জাদুঘরে হস্তান্তর করেছে শিশু-কিশোরেরা। ছবি-বাংলানিউজ

বাগেরহাট: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবসে নিজেদের সংগৃহীত শতাধিক প্রত্নসামগ্রী বাগেরহাট জাদুঘরে হস্তান্তর করেছে বাগেরহাটের রনবিজয়পুর বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর সংগঠন নামে একটি সংগঠন। 

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বাগেরহাট জাদুঘরের সামনের একটি কক্ষে সংগঠনের ২৫ শিশু-কিশোরের হাত থেকে এসব প্রত্নবস্তু গ্রহণ করেন জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদাউস।

প্রত্নবস্তু হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বাচ্চু, ষাটগম্বুজ মসজিদের ইমাম মো. হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর টুটুল, সাংবাদিক মোল্লা মাসুদুল হক, এইচএম মইনুল ইসলাম প্রমুখ, সংগঠনের সভাপতি সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুম্মান শেখ, সাধারণ সম্পাদক অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইনজামামুল কবির, শিক্ষার্থী আরশাদ হোসেন রাফিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খানজাহানের (রহ.) আমলের মাটির বদনা, হাড়ি, জলাধার, পিতলের তৈজসপত্র, কালির দোয়াত, মাটির গ্লাস, কাঠের নৌকা, মাটির চুলা, পুরনো তামার মুদ্রাসহ শতাধিক প্রত্নবস্তু হস্তান্তর করে।  

শিশু-কিশোরদের সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্যের বাড়ি ষাটগম্বুজের পার্শ্ববর্তী রনবিজয়পুর গ্রামে। তারা সবাই মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী। নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য ষাটগম্বুজ, খানজাহান আলী (রহ.) এর মাজার, তার বসত বাড়ি, ঠাকুর দিঘি, ঘোড়া দিঘিসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসব প্রত্মবস্তু সংগ্রহ করে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সযত্নে সংরক্ষণ করেছে শিক্ষার্থীরা।  

রনবিজয়পুর বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর সংগঠনের সভাপতি জুম্মান শেখ ও সাধারণ সম্পাদক ইনজামুল কবির বলে, ছোট বেলা থেকে হজরত খানজাহান আলী (রহ.) এর আমলের বিভিন্ন স্থাপনার কথা শুনেছি। বইয়ে পড়েছি নিজের এলাকার ঐতিহ্যের কথা। নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং পূর্ব পুরুষদের সম্মৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি জানান দিতে আমরা সবাই মিলে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসব প্রত্নবস্তু সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেছি। পরে বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান স্যারকে সংগ্রহের কথা জানালে স্যারের পরামর্শে আমরা সংগৃহীত বস্তুগুলো জাদুঘরে হস্তান্তর করি।

জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদাউস বলেন, শিশুদের ঐতিহাসিক জ্ঞান ও প্রত্নবস্তুর ওপর ভালবাসা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। শিশুদের সংগ্রহ করা শতাধিক প্রত্নবস্তুর অধিকাংশই বাগেরহাট জাদুঘরে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করা হবে।  

ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের শহর বাগেরহাটের পুরাকীর্তি ও প্রত্নবস্তু সংরক্ষণে শিশুদের মধ্যে যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে তা নিসন্দেহে প্রশংসনীয়। শিশুদের এসব কাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে আমি চেষ্টা করবো। পাশাপাশি খানজাহান (রহ.) এর আমলের সব স্থাপত্য শিল্প ও প্রত্নবস্তু সংরক্ষণের জন্য কাজ করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।