কিন্তু বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চকবাজারের ভয়াবহ আগুন কেড়ে নিয়েছে তার সব স্বপ্ন। কাওসার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের ছাত্র ছিলেন।
সবকিছু সামলে উঠতে গিয়ে এক বছর বিরতি দিয়ে ২২তম ব্যাচের এ সেকশনে ক্লাস করতেন তিনি। তার স্মৃতি নিয়ে বিভাগের বন্ধু আসলাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে। কিছুতেই চোখের পানি ফেরাতে পারলাম না। খুব সুন্দর সাবলীল মনের মানুষ ছিল বন্ধু কাওসার। কালও একসঙ্গে মিডটার্ম পরীক্ষা দিয়েছি আমরা। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এভাবে কেড়ে নেবে আমার বন্ধুটাকে তা কল্পনারও বাইরে ছিল।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার এ শিক্ষার্থী তৃতীয় বর্ষে থাকাকালীন বিয়ে করেন। ছিল ১১ মাস বয়সী যমজ বাচ্চাও। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মরদেহ শনাক্তের জন্য এলে কাওসারের ভাই হাফিজ আহমেদ, স্ত্রী ও মায়ের আহাজারিতে সৃষ্টি হয় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি।
দুপুর আড়াইটায় তার মরদেহ বিজনেস অনুষদে নিয়ে এলে তার সহপাঠীরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কাওসারের বন্ধু সালেহীন সাহাদাত ফাহিম বাংলানিউজকে বলেন, সে খুব ভালো বন্ধু ছিল। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে সেভাবে হলে থাকত না। ব্যাংকার বা ভালো জব করার স্বপ্ন দেখত।
বিকেলে বিজনেস অনুষদে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
এসকেবি/এসএইচ