ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাতিসংঘে স্থায়ী মিশনে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
জাতিসংঘে স্থায়ী মিশনে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা  জাতিসংঘে স্থায়ী মিশনে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

ঢাকা: ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের হাতকে আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আলোচকরা। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারা এই আহবান জানান। 

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের যৌথ উদ্যোগে স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের শুরু হয় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে।

এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা। তারপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব।  

একুশের কবিতা আবৃত্তি, গান, গানের সঙ্গে একক ও দলীয় নৃত্য এবং সমবেত সঙ্গীত দিয়ে সাজানো সাংস্কৃতিক পর্বটি পরিচালনা করেন নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশের খ্যাতনামা নাট্যশিল্পী টনি ডায়েস এবং তার সহধর্মিনী প্রিয়া ডায়েস।  

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালির উপস্থিতিতে নিউইয়র্ক সময় ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে মিশনের অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।  

স্বাগত ভাষণে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বিশ্বসভায় বাঙালি জাতির ভাষা ‘বাংলা’ প্রথম উচ্চারিত হয় ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জাতির পিতার প্রথম বাংলায় ভাষণের মধ্য দিয়ে।  

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে রাজধানী ঢাকায় ভাষার জন্য শহীদ হওয়ার মতো পৃথিবীর একমাত্র ঘটনা স্বীকৃতি পায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। ভাষা শহীদদের এই আত্মত্যাগ বিশ্ববাসীকে একটি দিন উপহার দিতে পেরেছে, এর থেকে গর্বের বিষয় বাঙালিদের জন্য আর কী হতে পারে।  

প্রবাসী বাঙালিদের উদ্দেশে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, আমরা যেন শুধু একদিনের মধ্যেই বাংলাভাষা চর্চ্চাকে সীমিত না রাখি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে বাংলা ভাষা উজ্জ্বীবিত রাখতে পরিবার এবং সমাজে বাংলার শুদ্ধ চর্চা অব্যাহত রাখি।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যসহ সব বক্তারা মহান ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অব্যাহতভাবে পরপর তিনবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে সব প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।  

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্থায়ী মিশনের হেড অব চেন্সারি নিরুপম দেব নাথ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ 
টিআর/আরআর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।