বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়।
২০১৫ সাল থেকে হয়ে আসছে মিলন মেলার এ আয়োজন।
প্রতি বছরের মতো এবারও হাকিমপুর পৌরসভাসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সহযোগিতায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এবং সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত দিবসটির আয়োজন করেছে।
এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উজ্জীবন সোসাইটি, বালুরঘাট ছন্দম, বালুরঘাট উত্তরের এবং বালুরঘাট-হিলি-বাংলাদেশ-মেঘালয় করিডোর কমিটির নেতা ও শিল্পীরা অংশগ্রহণ করছেন। একইসঙ্গে হাকিমপুর শিল্পকলা একাডেমি এবং স্থানীয় শিল্পীরা যৌথভাবে অংশগ্রহণ করেছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী বাংলানিউজকে বলেন, সকালে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপরে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, ছড়া, গল্প ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত’র সম্পাদক ও আয়োজক কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, এ মিলন মেলার মাধ্যমে আমরা ‘সম্প্রীতির একুশের মঞ্চ’ থেকে ঐক্যপ্রীতির বার্তা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা যারা বাংলা ভাষাভাষী আছি, আমাদের মধ্য থেকে যেন মৈত্রীর বন্ধন এবং সম্প্রীতি হারিয়ে না যায়, সেই লক্ষ্যে ২০১৫ সাল থেকে এ আয়োজন চলছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারত দু’টি রাষ্ট্র হলেও আমরা মনে ও প্রাণে কেউ আলাদা নয়। তাই সীমান্তের প্রাচীর ও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আমাদের প্রাণের বন্ধনকে আটকানো যাবে না। এ দিনটির জন্য যথেষ্ট আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে দুই বাংলার মানুষেরা অপেক্ষায় থাকেন।
সংশ্লিষ্টরা সূত্রে জানা যায়, এবার-ওপার বাংলার বালুরঘাট, মালদা ও কলকাতা থেকে ২০ জনের মতো অতিথি, শিল্পী ও কবি-সাহিত্যিকরা এ মিলন মেলায় অংশগ্রহণ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০৪১৯
জিপি