ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লাখো প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে ভাষা শহীদদের স্মরণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
লাখো প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে ভাষা শহীদদের স্মরণ শহীদদের স্মরণে লাখো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন। ছবি: বাংলানিউজ

নড়াইল: ‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’- স্লোগানে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে লাখো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছেন নড়াইলবাসী।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে এ ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্য দিয়ে বায়ান্নর ভাষা সৈনিকদের স্মরণ করা হয়।  

একটি, দু’টি নয় লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে দিবসটি পালন করেন নড়াইলবাসী।

মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে বর্ণমালা, অল্পনাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, নড়াইল একুশ উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে ভাষা শহীদদের স্মরণে ১৯৯৮ সালে নড়াইলে এ ব্যতিক্রমী আয়োজন শুরু হয়। প্রথমবার ১০ হাজার মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হলেও প্রতিবছর এর ব্যপ্তি বেড়েছে। এ বছর  ৮ একর জায়গাজুড়ে এক লাখ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। ওড়ানো হয় ৬৮টি ফানুস।

বিশাল এ আয়োজন দেখতে প্রতিবারের মতো এবছরও দূর-দূরান্ত থেকে হাজারও মানুষ নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে এসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন উপভোগ করেন।
শহীদদের স্মরণে লাখো প্রদীপ প্রজ্জ্বলন।  ছবি: বাংলানিউজ
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কুরিরডোব মাঠের লাখো মোমবাতি একসঙ্গে জ্বলে উঠে সেই সঙ্গে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এ গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গণসংগীত শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন হাজার হাজার দর্শক।

সন্ধ্যায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এ গান পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনজুমান আরা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ভাষা সৈনিক রিজিয়া খানম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, নড়াইল একুশের আলোর সভাপতি প্রফেসর মুন্সী হাফিজুর রহমান, সদস্য সচিব ও নাট্য ব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার প্রমুখ।

সব কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দু’দিন ধরে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবী লাখো মোমবাতি দিয়ে সাজিয়ে তোলেন পুরো মাঠে। সন্ধ্যায় মোমবাতিগুলো প্রজ্জ্বলন করে আলোকিত করা হয় নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের মাঠ।  

প্রতি বছরের মতো মোমবাতির আলোয় দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে চারিদিক। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকারসহ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় করেন আয়োজকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।