বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ৬৭ জনের মরদেহ মর্গে আনা হয়েছে।
ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, সবগুলো মরদেহের ডিএনএ স্যাম্পলের জন্য থাই মাসল, ব্লাড, দাঁত ও হাড় সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো মালিবাগ সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। আগামী দুইদিনের মধ্যে বাকি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত না হলে রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে দাবিকৃত স্বজনদের সবার কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং মরদেহের সঙ্গে তা ম্যাচিং করা হবে। যদি তা মিলে যায় তখন তাদেরকে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, এই মরদেহগুলোর সঙ্গে কয়েকটি মানবদেহের অংশ পাওয়া গেছে। ডিএনএ রিপোর্টের পর বলা যাবে সেগুলো একই মানবদেহের নাকি ভিন্ন ভিন্ন মানবদেহের।
তিনি আরো বলেন, বেশকিছু মরদেহের মধ্যে আমরা সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ছোট ছোট বিভিন্ন টুকরা পেয়েছি। এগুলো কারো কারো পেটে ঢুকে গেছে, কারো মাথায় আঘাত করেছে। এছাড়াও বডি স্প্রের বিভিন্ন আইটেম মরদেহের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আগুনের পাশাপাশি এসব ধাতব টুকরার আঘাতের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার পর পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট প্রায় ১৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে থিনারের ড্রাম পাওয়া গেছে। থিনারের ড্রামের কারণে আগুনের ভয়াবহতা বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
এজেডএস/জেডএস