বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের হাতে যৌথভাবে তুলে দেন।
পরে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে রাইটস যশোর ও জাস্টিজ অ্যান্ড কেয়ার নামে দু’টি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করছে।
ফেরত আসা নারী-শিশুরা হলেন- ঠাকুরগঞ্জের পারুল বেগম, রাজবাড়ীর সীমা আক্তার, গাজীপুরের নাজমা আক্তার, নড়াইলের আসমা খাতুন, মুছকান, সোহানা আবিদ, মুন্নি আক্তার, সুমি আক্তার, মাহামুদা বেগম, টাঙ্গাইলের রিয়া, নারায়ণগঞ্জের ফারজিনা সরদার, খুলনার খুশি গাজি, লাবুনি আক্তার, রাফিজা, রেহেনা, ইতি খাতুন, সাবানা ইব্রাহিম শেখ, বৃষ্টি আক্তার, ময়মনসিংহের লিজা হালিম আক্তার, শরিফা আক্তার, সাতক্ষীরার শিরিনা জাহাঙ্গীর, শাহানা ফেরদৌস, যশোরের জামিলা, মায়া ও ভোলার হালিমা।
জানা যায়, সংসারে অভাব অনটনের কারণে দুই থেকে পাঁচ বছর আগে এসব মেয়েরা ভালো কাজের আশায় দালালের খপ্পরে পড়ে সীমান্ত পথে ভারতে যায়। পরে দালালচক্র তাদের ভালো কাজের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে চেষ্টা চালায়। এর মধ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে এসব মেয়েদের আটক করে কারাগারে পাঠায়। সেখান থেকে রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে ভারতের একটি এনজিও সংস্থা তাদের কারাগার থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টারহোমে রাখে। পরবর্তীতে দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আইনে এদের স্বদেশ ফেরার ব্যবস্থা করে দেয়।
রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান বাংলাদেশিদের ফেরত আসার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, পাচারের শিকার নারীরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চায়, তাহলে তাদের আইনি সহয়তা করবেন বলেও জানান এই এনজিও কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
জেডএস/