ক্ষতিগ্রস্ত হাজি ওয়াহেদ মঞ্জিল মূল ভবন ধ্বংসের চিহ্ন নিয়ে ঠাঁয় দাড়িয়ে আছে। পাশের ভবনগুলোও আগুনের লেলিহান শিখায় পোড়া ক্ষতের চিহ্ন।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে পুরান ঢাকার চকবাজারের পাঁচটি ভবনের পাশাপাশি রাস্তার যানবাহনও পুড়ে যায়। আগুনে কমপক্ষে ৭০ জন পুড়ে মারা গেছে।
ভয়াবহ এই ট্র্যাজেডির পর রাতভর অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ১৪ ঘণ্টার পর বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, এখানে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল থাকায় ভবনগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো এখন ব্যবহারেরও অনুপযোগী।
চুড়িহাট্টা মোড়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চারতলা ওয়াহেদ মঞ্জিল পুরোপুরি পুড়ে গেছে। ভবনটির নিচতলা থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত দরজা, জানালা, ইট খসে পড়েছে। লোহার গ্রিল কোনো রকম আটকে আছে। বিমগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ওয়াহেদ মঞ্জিলের উল্টো দিকের একটি দোতলা টিনশেডের ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়ে গেছে ভবনের বিভিন্ন অংশ।
ক্ষতিগ্রস্ত মূল ভবনটির পাশের ছয়তলা ভবনটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার নিচে একটি খাবার রেস্টুরেন্ট পুড়ে গেছে। এখানেই অন্তত ২৪ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ওয়াহেদ মঞ্জিলের উল্টো পাশে রাস্তার পাশে মসজিদের সামনের একটি চারতলা ভবনের নিচের দোকানপাট পুড়ে গেছে। ভবনের ছাদের পানির ট্যাংকও গলে গেছে। তার পাশের আটতলা আরেকটি ভবনের ছাদেও দেখা গেছে পানির ট্যাংক গলে পড়েছে আগুনের তাপে।
শাহী মসজিদটি সাত তলার। আগুনের তাপে মসজিদ ভবনের টাইলস খসে পড়েছে। মসজিদটির ছাদে গিয়ে দেখা যায় সেখানে পড়ে আছে বিভিন্ন সুগন্ধির বিস্ফোরিত খোলস।
বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে ওয়াহেদ মঞ্জিলের নিচে দোকানগুলোতে তেজস্ক্রিয়তার কারণে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে বিভিন্ন দিকে ছুটে গেছে। তাই সাত তলার ছাদেও দেখা গেছে সেই বিস্ফোরকের চিহ্ন।
উদ্ধার অভিযান শেষ করার পর মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ধ্বংসস্তুপগুলো যত দ্রুত সম্ভব সরানো হবে। এরই মধ্যে সেগুলো সরানোর কাজ শুরু করেছে সিটি করপোরেশন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
এমআইএইচ/এমইউএম/এসআরএস