ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভোলার তজুমদ্দিনে তিরোধান উৎসবে পুণ্যার্থীদের ঢল

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
ভোলার তজুমদ্দিনে তিরোধান উৎসবে পুণ্যার্থীদের ঢল তিরোধান উৎসব

ভোলা: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোলার তজুমদ্দিনে চলছে পাঁচদিন ব্যাপী শ্রী শ্রী অচুত্যনন্দ ব্রহ্মচারী’র (অনিল বাবাজী) ২০তম তিরোধান উৎসব।

দক্ষিণাঞ্চলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বৃহৎ এ উৎসবকে ঘিরে পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে ভিড় জমাচ্ছেন।

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে চাঁদপুরের আড়ালিয়া ও সম্ভুপুর মন্দির প্রাঙ্গণ। সেখানে ভক্তরা কীর্তন শুনছেন এবং প্রার্থনা করছেন।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও আড়ালিয়া বাবাজির মন্দিরে ৪০ প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠান চলছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কীর্তনীয়া দল মহানামযজ্ঞ পরিবেশন করছেন।

আড়ালিয়া মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, আলোকসজ্জায় সজ্জিত অনিল বাবাজির মন্দির ঘিরে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর ঢল। মন্দির প্রাঙ্গণে চলছে মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠান। মন্দিরে পাশে দুই শতাধিক দেবতার বিগ্রহ দিয়ে বৃন্দাবন নির্মাণ করা হয়ে। সারি সারি প্রতিমা দ্বারা স্বর্গের আদলে সাজানো হয়েছে।
তিরোধান উৎসব
এছাড়াও মন্দিরের পাশেই নির্মিত কুন্ডলিতে প্রবেশ করে ভক্তরা নাম জব করছেন। মন্দির ঘেঁষে বাবাজির সমাধিস্থল। সেখানে ভক্তরা মোমবাতি ও ধূপকাঠি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করছেন। মন্দিরে পেছনের অংশে দুই শতাধিক স্টল বসেছে।

মন্দিরের চারপাশ ঘিরে আলোকসজ্জা সুদৃশ্য গেইট, প্রবেশ পথ এবং বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবক, যুবসংঘ টিম কাজ করছে। প্রসাদ বিতরণের জন্য একদল তরুণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অসুস্থ পুণ্যার্থীদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মন্দিরা আসা ভক্ত প্রাণ গোপাল দে বাংলানিউজকে বলেন, অনিল বাবাজির তিরোধান উৎসবে সারাদেশ থেকে ভক্তরা আসছেন। তিরোধান উৎসবটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে ঐতিহাসিক উৎসব।

স্থানীয় এলাকাবাসী এবং আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, অচ্যুতানন্দ ব্রহ্মচারীর এটি ২০তম তিরোধান উৎসব। প্রতিবছরের মতো এ বছরও মহা আয়োজনে এ অনুষ্ঠান চলছে। দেশের বাইরে থেকেও বাবাজির মন্দির দর্শন করতে ভক্তরা আসছেন। ভক্তদের থাকা ও দুপুর এবং রাতে প্রসাদের ব্যবস্থা রয়েছে।

আড়ালিয়া চাঁদপুর মন্দিরের মতো বাবাজির অপর মন্দির সম্ভুপুরেও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। সেখানেও তিরোধান উৎসবের চলছে। আধুনিক রূপে নির্মাণ করা হয়েছে বাবাজির সমাধি।

শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মহা-প্রসাদ বিতরণ করা হবে। রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।