ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডিএনএ'র নমুনা সংগ্রহে ঢামেকে সিআইডির টিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
ডিএনএ'র নমুনা সংগ্রহে ঢামেকে সিআইডির টিম

ঢাকা: রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪৬ জনের মরদেহ শনাক্ত এবং হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করেছে পুলিশ ও ঢাকা জেলা প্রশাসন। 

তবে ৬৭টি মরদেহের মধ্যে এখনো ২১টি মরদেহ শনাক্ত ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করা যায়নি।  

বাকি ২১ মরদেহের শনাক্তকরণের ডিএনএ'র নমুনা সংগ্রহ করতে শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল।

জানা যায়, তারা ২১ মরদেহ এবং স্বজনদের থেকে ডিএনএ'র নমুনা সংগ্রহ করবে। পরে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ টেস্ট শেষে প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ বিষয়ে সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন বলেন, আমরা এখন বাকি ২১ মরদেহ থেকে ডিএনএ'র নমুনা সংগ্রহ করবো। পরে যেসব স্বজন মরদেহের খোঁজে আসবেন তাদের ডিএনএ'র নমুনা সংগ্রহ করবো। এবং তা সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার পর পুলিশের কাছে প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়া হবে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) রোমানা আক্তার জানান, ২১ মরদেহের পরিচয় শনাক্তের জন্য রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ১০ স্বজনের রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে যারা যারা আসতেছে কথা বলার পর আমরা ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছি।

তিনি জানান, এর আগেই ময়নাতদন্তের সময় চিকিৎসকরা মরদেহ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রেখেছিলেন।

এক প্রশ্নে জবাবে রোমানা আক্তার জানান, ডিএনএ সংগ্রহের পর যে গুলো দ্রুত করা যায় সেগুলো করা হবে।

এদিকে সকাল থেকে ঢামেক হাসপাতাল মর্গের সামনে স্বজনরা ভিড় করছে। এর মধ্যে হাজী ইসমাইল (৬৩) নামে এক প্লাস্টিক ব্যবসায়ীকে খুঁজছে তার পরিবার। ইসমাইলের ছোট ভাই লিটন বাংলানিউজকে  জানান, তাদের বাড়ি চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ। তার ভাই চকবাজারে ছোটখাট ব্যবসা করতেন। অনেকগুলো মরদেহ দেখেছে শনাক্ত করতে পারেনি। অন্যান্য স্বজনদের সঙ্গে নিখোঁজ ইসমাইলের ছেলে সোহরাব হোসেনের রক্তও নেওয়া হয়েছে বলে জানান লিটন।

ঢামেক সূত্র জানায়, ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল মর্গের ফ্রিজ নষ্ট থাকায় অশনাক্ত ২১টি মরদেহের মধ্যে মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫টি, সোহরাওয়ার্দীতে ৫টি, কুর্মিটোলায় ৩টি, হৃদরোগ হাসপাতালে ৫টি ও ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগের ফ্রিজে ৩ মরদেহ পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২১ মরদেহ এখনো শনাক্ত হয়নি। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে মরদেহগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জন পুড়ে মারা যায়। চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আবাসিক ভবনটিতে কেমিক্যাল গোডাউন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯/আপডেটেড ১৪৩৯ ঘণ্টা
এজেডএস/ডিএসএস/এমএএম/এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।