আর এ ঘটনা মর্গের ইতিহাসে বিরল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।
শুক্রবার (২২ ফ্রেরুয়ারি) রাতে বাংলানিউজের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ডা. সোহেল মাহামুদ জানান, তার নেতৃত্বে ফরেনসিক এক্সপার্ট ২২ জন চিকিৎসক নিয়ে এ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। ময়নাতদন্তের পাশাপাশি মরদেহ থেকে সংগ্রহ করা হয় ডিএনএ নমুনা। পরে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, পুরোটা সময় আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। এটা ঢামেকের ইতিহাসে রেকর্ড। একদিনে এতোজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত এর আগে হয়নি। ২২ জন চিকিৎসক ছাড়াও মর্গের চার-পাঁচজন সরকারি কর্মচারী আমাদের এই কাজে বড় ধরনের সহযোগিতা করেছেন।
‘ময়নাতদন্তের আগে পুলিশ দ্রুত ৬৭ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে আমাদের কাছে জমা দেন। কারণ, সুরতহাল না হলে ময়নাতদন্ত হতো না। তাই পুলিশকেও ধন্যবাদ। ’
তিনি আরো জানান, এর আগে রানা প্লাজা ও তাজরীন ট্রাজেডির মরদেহগুলো ধাপে ধাপে ময়নাতদন্ত করা হয়। অনেক মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনরা শনাক্ত করে নিয়ে গেছেন। এছাড়া নিমতলীর ঘটনায় মরদেহের ময়নাতদন্ত তেমন একটা হয়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিয়মিত থাকা এক কর্মচারী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ময়নাতদন্ত শুরু করা হয়। ময়নাতদন্তের পরপরই কিছু প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে একের পর এক মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষ হয় রাত ১২টায়।
২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এলাকা চকবাজারের একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনায় এখনও অনেকে আহত আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
এজেডএস/এএ