ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভবন পরিত্যক্ত, খোলা আকাশের নিচে পাঠদান 

শেখ তানজির আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
ভবন পরিত্যক্ত, খোলা আকাশের নিচে পাঠদান  বিদ্যালয়ের মাঠে চলছে পাঠদান। ছবি: বাংলানিউজ

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৫৭ নম্বর জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শ্রেণি কার্যক্রম। এ কারণে বিদ্যালয়ের ৪৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

জানা গেছে, জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের কখনো খোলা মাঠে, কখনো গাছ তলায় ক্লাস নেয়া হচ্ছে।  

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, দেশ বিভাগের আগে ১৯৪৪ সালে এলাকার দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে টিনের ছাউনি আর ইটের দেয়ালে তৈরি কক্ষে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চললেও ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে নির্মিত তিন কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনটি ২০১৬ সালে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়লে তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।  

এছাড়াও ২০০৬-০৭ সালে পিইডিপি-২ এর আওতায় এলজিইডির বাস্তবায়নে নির্মিত আরও একটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনের একটি কক্ষে অফিসিয়াল কার্যক্রম আর অপরটি শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।  

ফলশ্রুতিতে মাত্র একটি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে বা কখনো গাছ তলায় পাঠদান করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।  

বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবন।  ছবি: বাংলানিউজবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. সাজেদা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ৪৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটে হিমশিম খেলেও বিদ্যালয়ের ফলাফল বরাবরই ভাল।  

তিনি আরও বলেন, এখন না হয় খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বর্ষাকালে ওদের নিয়ে কোথায় যাব আমরা।  

প্রথম শ্রেণির ছাত্র বিজয় ও মুনতাসীর বলে, বাইরে ক্লাস করার সময় অনেক শব্দ হয়। রোদের মধ্যে ক্লাস করতে হয়। পড়ায় মন বসে না।  

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) জিএম রাজগুল বাহার বাংলানিউজকে বলেন, পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারণ করে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এদিকে দেখভাল নেই।  

এ প্রসঙ্গে শ্যামনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর্জা মিজানুর আলম বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যালয়টির অবস্থা আমি জানি। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য তালিকার প্রথম সারিতে নাম রাখা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা হচ্ছে না। না হওয়ার কারণটা আমার জানা নেই। এরপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।