জানা গেছে, জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের কখনো খোলা মাঠে, কখনো গাছ তলায় ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, দেশ বিভাগের আগে ১৯৪৪ সালে এলাকার দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও ২০০৬-০৭ সালে পিইডিপি-২ এর আওতায় এলজিইডির বাস্তবায়নে নির্মিত আরও একটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনের একটি কক্ষে অফিসিয়াল কার্যক্রম আর অপরটি শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফলশ্রুতিতে মাত্র একটি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে বা কখনো গাছ তলায় পাঠদান করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. সাজেদা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ৪৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটে হিমশিম খেলেও বিদ্যালয়ের ফলাফল বরাবরই ভাল।
তিনি আরও বলেন, এখন না হয় খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বর্ষাকালে ওদের নিয়ে কোথায় যাব আমরা।
প্রথম শ্রেণির ছাত্র বিজয় ও মুনতাসীর বলে, বাইরে ক্লাস করার সময় অনেক শব্দ হয়। রোদের মধ্যে ক্লাস করতে হয়। পড়ায় মন বসে না।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) জিএম রাজগুল বাহার বাংলানিউজকে বলেন, পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারণ করে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এদিকে দেখভাল নেই।
এ প্রসঙ্গে শ্যামনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর্জা মিজানুর আলম বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যালয়টির অবস্থা আমি জানি। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য তালিকার প্রথম সারিতে নাম রাখা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা হচ্ছে না। না হওয়ার কারণটা আমার জানা নেই। এরপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
আরএ