ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মৃতপ্রায় নবগঙ্গায় চলছে খনন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
মৃতপ্রায় নবগঙ্গায় চলছে খনন  নবগঙ্গায় চলছে খনন। ছবি: বাংলানিউজ

মাগুরা: নবগঙ্গা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য চলছে খনন। বর্তমানে মৃতপ্রায় এক সময়ের প্রমত্তা নবগঙ্গার খনন শুরু হওয়ায় এ নদীকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন মাগুরাবাসী। প্রায় ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ কাজ আগামী জুনে শেষ হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ৪১ কোটি ৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে। ২০১৯ সালের জুন মাসে শেষ হবে এ কাজ।

নবগঙ্গা নদীর সদর উপজেলা অংশে ১১ কিলোমিটার খননের মাধ্যমে ৩০ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধা পাবে যা থেকে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদিত হবে।  

এছাড়াও ২০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত মাছ চাষ সম্ভব হবে। খননের মাধ্যমে জেলার ৫টি বিল জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পাবে এবং জেলায় বন্যা মোকাবেলা সম্ভব হবে।

মাগুরার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন মৃতপ্রায় এ নদীকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু তাদের আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেনি কখনো। সম্প্রতি খননের মাধ্যমে নব্যতা ফিরিয়ে আনার সংবাদে স্বস্তি ফিরে এসেছে সর্বমহলে।

প্রকৃতি বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা পল্লী-প্রকৃতির নির্বাহী পরিচালক শফিকুর রহমান পিন্টু বলেন, নবগঙ্গা নদী খননের ফলে মাগুরার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত একটি পরিবর্তন আসবে। এটি যেমন সেচ সুবিধা বাড়িয়ে ফসল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে তেমনিভাবে মাছের উৎপাদনও বাড়াবে। একই সঙ্গে নৌ-যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনেতিক সুবিধা বাড়বে। সবচেয়ে বড় কথা এটি জীববৈচিত্র্যতা এবং পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক হবে।

মাগুরার ইসলামপুরের ৮০ বছর বয়সী গোবিন্দ হালদার বলেন, ছেলেবেলায় দেখতাম বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্টিমার আসত এ নদীর ঘাটে। আমরাও নড়াইল, খুলনা গিয়েছি এসব স্টিমারে। রাতের নদীতে জোনাকির মত দেখা যেত মাছ ধরার নৌকাগুলো। প্রচুর মাছ আসত বাজারে। আশপাশের জমিগুলোর সেচের প্রধান অবলম্বন ছিল নবগঙ্গা। কালের বিবর্তনে এখন নবগঙ্গা মৃতপ্রায়। এখন খনন শুরু হয়েছে জেনে আমরা আনন্দিত। মৃত নবগঙ্গা আবার প্রাণশক্তি ফিরে পাবে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিডব্লিউডিবি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খান মুজাহিদ বলেন, নবগঙ্গা নদী খননের কাজ পূর্ণ উদ্যমে চলছে। এবছর জুন মাসে আশাকরি কাজ শেষ হবে। এটি মাগুরাবাসীর জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।