একদিকে ফেরি সংকট। অপরদিকে ঘন কুয়াশা।
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের উভয় ফেরিঘাট এলাকায় মিলে নয় শতাধিক যানবাহন নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসির বাণিজ্য বিভাগের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ঘন কুয়াশার কারণে নৌরুটে দুর্ঘটনা এড়াতে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। যে কারণে নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন।
সবশেষ সকাল ১০টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দুই শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে। যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে যাত্রীবাহী বাস, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করা হচ্ছে। আর সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে টার্মিনালে আটকে রাখা হয়েছে। বাসের চাপ কমে গেলে সিরিয়াল অনুযায়ী ওই ট্রাকগুলো নৌরুট পারাপার করা হবে বলে জানান জিল্লুর রহমান।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসির বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলে মোট ১৮টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এর মধ্যে দু’টি ফেরিতে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় ফেরি দু’টিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ভাসমান মেরামত কারখানায় পাঠানো হয়েছে। যে কারণে যানবাহন পারাপারে কিছুটা ভোগান্তি বাড়ছে।
সবশেষ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ কম থাকায় সেগুলোকে ঘাটে আসা মাত্রই পারাপারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান আবু আব্দুল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
কেএসএইচ/আরবি