শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চুড়িহাট্টা এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, পুরান ঢাকার চকবাজার থেকে অবৈধ কেমিক্যাল কারখানা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন।
তিনটি বিষয়ের প্রতি প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিহতদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং এখনও যাদের শনাক্ত করা যায়নি তাদের স্বজনদের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা। এর পরের কাজ কেমিক্যালের গোডাউন সরিয়ে নেওয়া।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে চকবাজার থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর জন্য সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা তালিকা তৈরি করছে। প্রথমে চকবাজার, পরবর্তীতে সমগ্র পুরান ঢাকা থেকেই কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে ফেলা হবে।
এর আগে একাধিকবার পুরান ঢাকার রাসায়নিক পদার্থের গোডাউন সরানোর কথা হয়েছিলো। কিন্তু সম্বনয়হীনতার কারণে সম্ভব হয়নি। এবার সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহায়তায় এখানকার সব অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক গোডাউন নিরাপদ স্থানে সরানো হবে। এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছি।
ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করে তাদের তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিল্পমন্ত্রী সেভাবে বলেননি, যেভাবে মিডিয়ায় এসেছে। উনি বলেছেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত।
এসময় ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহারের পরিবর্তে বিকল্প কিছু চিন্তা করছে সরকার বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
পিএম/আরআর