কিন্তু স্থানীয়দের যৌক্তিক দাবির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সাফাই গাইছেন কেমিক্যালের পক্ষে।
**কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণ শুরু, মালিক না সরালে ব্যবস্থা
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাইদ খোকন চুড়িহাট্টা এলাকা পরিদর্শনে এলে ব্যবসায়ীরা কেমিক্যালের পক্ষে নানা স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন। এসময় মেয়র তাদের যৌক্তিক সমাধানের আশ্বাস দেন।
চুড়িহাট্টা এলাকার জুয়েলারি ব্যবসায়ী হাজী আব্দুর রশিদ বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ঝরে যাচ্ছে প্রাণ। আমরা চাই দেশ থেকে সব গ্যাস সিলিন্ডার বন্ধ করে দেওয়া হোক।
কেমিক্যালের কারণে আগুন এলাকাটিতে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে এটা অস্বীকার করেন তিনি। তার মতে, কেমিক্যাল নয় সব কিছুর জন্য দায়ী গ্যাস সিলিন্ডার।
হাজী মুসলিম নামে অন্য ব্যবসায়ী বলেন, কেমিক্যাল থেকে সব কিছু তৈরি হয়। কেমিক্যাল থেকে কোনো দুর্ঘটনা আজও ঘটেনি। ইজতেমা ময়দান থেকে শুরু করে সব জায়গায় গ্যাস সিলিন্ডার কেড়ে নিয়েছে প্রাণ। আমরা এই গ্যাস সিলিন্ডার চাই না।
তবে কেমিক্যালের কারণে গত বুধবারের (২০ ফেব্রুয়ারি) ঘটনায় আগুন মুহূর্তে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে, ঝরে পড়ে ৬৭টি তাজা প্রাণ-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেমিক্যালের জন্যই আপনি সব পোরতাছেন, সাজের জিনিস পাইতাছেন। ’
তবে ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গে একমত নন এলাকার বাসিন্দারা। তারা বলছেন, আবাসিক এলাকায় আর কোনো মরদেহ দেখতে চায় না, কেমিক্যালমুক্ত এলাকা চায়।
মোমেনা আহমেদ নামে অর্ধবয়সী এক নারী চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, কেমিক্যাল নামে ভয়ানক পদার্থ আর আবাসিক এলাকায় চায় না। কেমিক্যাল না থাকলে ওই দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এতো বেশি হতো না। আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল দোকান, গুদাম বন্ধ হওয়া উচিৎ।
সাইদুল ইসলাম নামে অন্য বাসিন্দার মতে, সিলিন্ডার সব সমস্যার কারণ হতে পারে না। গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার দেখতে হবে তার মেয়াদ আছে কিনা। আমারও গাড়ি আছে সিলিন্ডারে চলে। নিয়মিত সার্ভিসিং করতে হবে, সতর্ক হতে হবে। ব্যবসায়ীরা সতর্ক না হওয়ায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এখন তারা সিলিন্ডার নিয়ে নতুন ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
ইএআর/আরআর