শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ঠাকুরদিঘী এলাকায় একটি বাসে অজ্ঞান অবস্থায় পেয়ে মোস্তফা কামালকে চমেক হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এরশাদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে নূর এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে করে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন মোস্তফা কামাল। বাসটি মিরসরাই উপজেলার ঠাকুরদিঘী পৌঁছালে হেলপার তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
এসআই এরশাদুল আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে মলম পার্টির লোকজন কোনো ওষুধ খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করেছিল। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মোস্তফা কামালের ছোট ভাই মোস্তফা শহীদ বাংলানিউজকে জানান, তার ভাই কাঠের ব্যবসা করতেন। ব্যবসার কাজে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতেন। বৃহস্পতিবার মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে অজ্ঞান হওয়ার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন রাতেই চমেক হাসপাতালে ছুটে যান। তবে তার ভাইয়ের সঙ্গে কত টাকা অথবা কী মালামাল ছিল তাৎক্ষণিকভাবে তিনি তা বলতে পারেননি।
তিনি আরও জানান, শনিবার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছালে বাদ জোহর নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে মোস্তফা কামালের মৃত্যুতে তার স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ আত্মীয়-স্বজনের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এছাড়া তার ছোট ছেলে সামিউল আলম রাজু এসএসসি পরীক্ষার্থী। শনিবার তার উচ্চতর গণিত পরীক্ষা ছিল। বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে সে পরীক্ষা কেন্দ্রে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
আরএ