ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৬ প্রকল্পের পরিচালক তিনি একাই! 

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
৬ প্রকল্পের পরিচালক তিনি একাই!  সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা; ছয়টি প্রকল্পের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

সিলেট থেকে: একটি নয়, দুটি নয়। একাধারে গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি প্রকল্পের পরিচালকের দায়িত্ব একই পালন করছেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা। 

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার নির্দেশনা দিয়েছেন, একব্যক্তিকে যেনো একাধিক প্রকল্পের পরিচালক করা না হয়।    

কিন্তু সে নির্দেশনা ও সব আইন অমান্য করে একাই ছয়টি প্রকল্পের পরিচালকের (পিডি) দায়িত্ব পালন করছেন তুষার কান্তি।

এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ২ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা।

এগুলো হচ্ছে- বানিয়াচং-আজমিরিগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (ব্যয় ১১৬ কোটি টাকা), সিলেট বিমানবন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কের জাতীয় মহাসড়ক উন্নতকরণ প্রকল্প (ব্যয় ৬২৭ কোটি), সিলেট জোনের গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়কের যথাযথ মান ও প্রশস্ত উন্নীতকরণ প্রকল্প (ব্যয় ৫৬০ কোটি), সিলেট শহর বাইপাস-গ্যারিসন লিংক টু শাহ পরাণ সেতু ঘাট সড়ক চারলেনে মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (ব্যয় ২৩৫ কোটি)।

এছাড়া ঢাকা-সিলেট-তামাবিল-জাফলং জাতীয় মহাসড়কের জৈন্তা থেকে জাফলং পযর্ন্ত উন্নয়ন প্রকল্পেরও পিডি তুষার কান্তি। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৯০ কোটি টাকা। আর ৫৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিলেট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ত উন্নীতকরণ প্রকল্পেরও পরিচালক তিনি।

শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সিলেট সার্কিট হাউজে বিভাগের বাস্তবায়িত ৫৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্বয়ং পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানও।  

এ সময় তুষার কান্তি সাহা একাই কীভাবে ছয়টি প্রকল্পের পরিচালক হলেন তা জানতে চান মন্ত্রী। তখন তুষার কান্তি বলেন, ‘স্যার, এভাবেই তো চলে আসছে। আমি প্রকল্পগুলোর দায়িত্ব পালন করছি। উপর থেকে আমাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘একব্যক্তি একাধিক প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে প্রকল্প পরিচালকদের প্রকল্প এলাকায় থাকতে হবে। সঠিক সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’

বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই  একব্যক্তি একের বেশি প্রকল্পের পরিচালক হতে পারবেন না! একব্যক্তি কীভাবে ছয় প্রকল্পের পরিচালক হতে পারেন?’

সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, প্রকল্পের গতি বাড়াতে হবে। প্রকল্প কাজে গতি বাড়াতে যথাসময়ে কাজ শেষ করতে হবে। অর্থের অপচয় কমাতে হবে।

সিলেট বিভাগে চলমান ৫৮ প্রকল্পের পরিচালকসহ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
এমআইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।