শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ‘ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আজ আমরা স্বাধীন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ডা. মালেক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল কি-না সে ব্যাপারে ১৯৮৪ সালে বঙ্গবন্ধু বাসার সামনে একটা সেমিনার করেছিলাম, এতে ভাষা আন্দোলনকারী যারা জীবিত ছিলেন, তারা অংশ নিয়েছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ‘১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ একটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখ। গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে, সদ্যগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের ১১ মার্চ যে সাধারণ ধর্মঘট হয়েছিল সেই ধর্মঘটে, সেই হরতালে, প্রথম যিনি রাজবন্দী হয়েছিলেন, তিনি তখনকার যুবনেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ১১ মার্চ এর যে রাজবন্দী, তার পেছনে প্রধান কারণ হলো এই ভাষা। ১৯৪৮ সালে যুবনেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখনই ধারণা করতে পেরেছিলেন ভাষার গুরুত্ব এবং পাকিস্তান একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র এবং এ রাষ্ট্র একটি অপসংস্কৃতির রাষ্ট্র। বাংলা ভাষার ওপর আঘাত করে তারা প্রথমেই প্রমাণ করা, তারা সাম্প্রদায়িকতার বিষ-বাক্স নিয়ে খেলবে। সেটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে ১৯৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং ১৯৫৩ সালে যে প্রথম প্রভাতফেরি, সেটি খালি পায়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে হয়েছিল। এই সময় পর্যন্ত যতগুলো ঘটনা, সবকিছুতেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি অম্লান।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্র ভৌমিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি মোকাদ্দেস হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অরুণ কুমার গোস্বামী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাজেদুল আরেফিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
ডিএসএস/এইচএ/