ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চুড়িহাট্টার বাতাসে বইছে এখনও কেমিক্যালের ঝাঁঝালো গন্ধ

ইয়াসির আরাফাত রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
চুড়িহাট্টার বাতাসে বইছে এখনও কেমিক্যালের ঝাঁঝালো গন্ধ পোড়া ওয়াহিদ ম্যানশনের প্রবেশদ্বার, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানী চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার চার দিন পার হতে চললো। এখনও চুড়িহাট্টা এলাকার বাতাসে বইছে কেমিক্যালের ঝাঁঝালো গন্ধ।

কৌতূহল অনেকেই বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পারফিউমের পোড়া বোতল দেখছেন, গন্ধ শুঁকছেন। অনেকেই আবার সেলফির পাশাপাশি করছেন ভিডিও।

একজন অন্যজনকে বলছেন হোটেলটি কোথায় ছিলো, ফার্মেসিটি কোথায় ছিলো বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন।

শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন ঘুরে এ তথ্য মিলেছে। চকবাজারের চুড়িহাট্টায় পোড়া ক্ষতিগ্রস্ত ভবন দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়, ছবি: বাংলানিউজসরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চকবাজার চুড়িহাট্টা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের চারদিন পরও দোকান ও গুদামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন কেমিক্যাল। এর কোনোটা থেকে বের হচ্ছে পোড়া গন্ধ আবার কোনো কোনোটা থেকে বের হচ্ছে পারফিউমের গন্ধ। ছড়িয়ে আছে দোকানের মালপত্র, পারফিউমের পোড়া বোতল, ইলেকট্রিক বস্তু। রাস্তার ওপর পড়ে আছে আগুনে পুড়ে যাওয়া পিকআপভ্যান-প্রাইভেটকার, মোটরবাইক, বাইসাইকেল, ভ্যান, বিভিন্ন রং, কার্বন রং।

অন্যদিকে ওয়াহিদ ম্যানশনের গুদাম থেকে এদিন কেমিক্যাল অপসারণ করার কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তার পোড়া আবর্জনা পানি ছিটিয়ে পরিষ্কার করছেন সিটি করপোরেশন, পায়ার সার্ভিস ও লালবাগ জোনের পুলিশ সদস্যরা।

সাফায়াত হোসেন রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর এলাকাটি দেখতে এসেছেন। তিনি রাজ্জাক ম্যানশন থেকে পারফিউমের বোতল কুড়িয়ে নিজে দেখার সঙ্গে সঙ্গে অন্যকে বলছেন দেখেন দেখেন এখনও ঘ্রাণ আছে।

সাফায়াত বাংলানিউজকে বলেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই জায়গাটি দেখার ইচ্ছা ছিলো। যে স্থানটি এতোগুলো মানুষের প্রাণ কাড়লো সেটি বন্ধুদের দেখাতে ফেসবুকে ছবি শেয়ার করবো। তাই ছবি-ভিডিও নিয়েছি।

শিরিন আক্তার লালবাগ থেকে এসেছেন চুড়িহাট্টা এলাকায়। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আবাসিক এলাকায় কোনো কেমিক্যাল থাকা মানে ভয়ানক কিছুর সঙ্গে বসবাস করা। নিমতলায় একই ঘটনার বলি ছিলো দেড়শো লোকের প্রাণ। কেমিক্যাল এতো ভয়ানক যে এখনও এর গন্ধ বাতাসে আছে। অথচ ঘটনার চার দিন হতে চললো।

মোমেনা আহমেদ নামে অর্ধবয়সী এক নারী চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকার বাসিন্দা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কেমিক্যাল নামে ভয়ানক পদার্থ আর আবাসিক এলাকায় চায় না। কেমিক্যাল না থাকলে ওই দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এতো বেশি হতো না।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামালের তীব্রতা এতো বেশি যে ঘটনার চার দিন পার হয়ে গেলো অথচ আজও (শনিবার) এর গন্ধ বাতাসে বইছে। আমি মনে করি আবাসিক এলাকায় কেমিক্যালের দোকান- গুদাম বন্ধ হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।