ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে পলিসি তৈরি জরুরি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
‘রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে পলিসি তৈরি জরুরি’

ঢাকা: রাসায়নিকের ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। এর কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে বড় বড় দুর্ঘটনা। সময় এসেছে এখনই রাসায়নিকের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে নীতি প্রস্তুত করার। একই সঙ্গে আবাসিক এলাকা থেকে সব ধরনের রাসায়নিকে গুদাম ও ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। একটা পরিকল্পনা করে নির্দিষ্ট স্থানে রাসায়নিকের শিল্প এলাকা গড়ে তুলতে হবে।

চকবাজার চুড়িহাট্টা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, এজেন্সিগুলোর জবাবদিহিতা ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) হিউম্যান রাইটস ফোরাম (এইচআরএফবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন বিশিষ্টজনেরা।

সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার নেত্রী ড. হামিদা হোসেন বলেন, আমাদের সবার আগে ভাবতে হবে পুরান ঢাকা আবাসিক নাকি রাসায়নিক এলাকা।

যদি সেটি আবাসিক এলাকা হয় তাহল সেখান থেকে সব ধরনের রাসায়নিক গুদাম ও ব্যবসা গুটিয়ে নিয়ে অন্য স্থানে সরাতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই একটা পরিকল্পনা নিয়ে যেতে হবে। পরিকল্পনা না নিয়ে গেলে আবারও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকবে।

তিনি বলেন, চকবাজারের ভয়ানক এ ঘটনা ভিন্নখাতে নিয়ে যেতে তৎপর রয়েছে একটি চক্র। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তারা রাসায়নিক নিয়ে কথা বলছেন না। আমরা মনে করি সরকার একটা নিরপেক্ষ তদন্ত করে অবশ্যই এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

রঞ্জন কর্মকার বলেন, আজ রাসায়নিক সব স্থানে ছড়িয়ে গেছে। এটা শুধু ঢাকাতে না ঢাকার বাইরেও রয়েছে। সব জায়গা  থেকে রাসায়নিককে সরিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিতে হবে।

তিনি বলেন, এ ঘটনা নিয়ে সরকার যা বলছে সেটি অসহায়ত্বের কথা। আমরা মনে করি কোনো অসহায়ত্ব নয়, আবাসিক এলাকা থেকে রাসায়নিক সরাতে সব পদক্ষেপ নেবে সরকার। অসহায়ত্ব যদি থাকে তাহলে বস্তি উচ্ছেদের সময় কেনো এই অসহায়ত্ব থাকে না, ক্রসফায়ারের নামে মানুষ মারার সময় কেনো এটা থাকে না? আমি মনে করি, নিরাপদ বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই আবাসিক থেকে রাসায়নিক সরাতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
ইএআর/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।