ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চকবাজারের প্রভাবশালীদের খুঁজে বের করতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
চকবাজারের প্রভাবশালীদের খুঁজে বের করতে হবে কর্মশালায় এইচ টি ইমামসহ অন্যরা

ঢাকা: পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে সংশ্লিষ্টরা দায় এড়াতে পারে না। চকবাজারে প্রভাবশালীরা নাকি কেমিক্যাল ব্যবসা করেন। আর এসব প্রভাবশালীদের দ্রুত সময়ে খুঁজে বের করা দরকার।

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ: পরিসংখ্যানের ভূমিক’ বিষয়ক কর্মশালায় এইচ টি ইমাম এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের দায় সংশ্লিষ্টরা এড়াতে পারে না।

ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্ব ছিলো চকবাজারের আগুন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা ছিল কিনা খুঁজে দেখা। যারা ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে তাদের উচিত ছিলো সঠিক ব্যবসা হচ্ছে কিনা সেটি তদারকি করা। পরিবেশ অধিদফতরের কিছু দায় আছে, কারণ একটা পাইপ লিক হলেও পরিবেশের ক্ষতি হয়।

অনেকে বলেন প্রভাবশালীদের কারণে কেমিক্যাল ব্যবসা সরানো যায়নি। পুলিশের উচিত ছিলো প্রভাবশালী মহলকে খুঁজে বের করা। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা সঠিক দায়িত্ব পালন করেনি, বলেও মন্তব্য করেন এইচ টি ইমাম।
 
তিনি বলেন, সবাই মিলে কাজ করতে হবে। দেখতে হবে কিভাবে কাজকে আরো সুন্দর করা যায়। পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাজ শুধু তথ্য দেওয়া নয়, ভবিষ্যতে কি করতে হবে এটাও নির্ধারণ করতে হবে।
 
ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর কেউ কি পুরান ঢাকায় একবারও গিয়েছেন? সেখানে কতোগুলো দালানকোঠা আছে, এসব দালানের নিচে কি পরিমাণ রাসায়নিক আছে। নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পরিসংখ্যান ব্যুরোর কেউ কেনইবা পুরান ঢাকায় যায়নি? পরিসংখ্যান ব্যুরোর উচিত পুরান ঢাকায় কি পরিমাণ কেমিক্যাল গোডাউন আছে তার ডাটা তৈরি করা।
 
তিনি আরো বলেন, অনেক চেষ্টা করে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সাভারে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেই ট্যানারি এখন ঢের বেশি পরিবেশের ক্ষতি করছে। আগে বুড়িগঙ্গা নষ্ট করেছে, এখন ধলেশ্বরীর বারোটা বাজাচ্ছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোকে সাভারে যেতে হবে কি পরিমাণে ক্ষতি হচ্ছে তার হিসেব করা। শুধু গণনা করলে হবে না, তথ্য ব্যবস্থাপনায়ও জোর দিতে হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোকে শক্তিশালী করতে সরকারের আগ্রহ আছে। আমরাও সেই আলোকে কাজ করছি। সরকারের উন্নয়ন কাজে পরিসংখ্যান ব্যুরো সঠিক ডাটা দিয়ে অংশীদার হতে চায়।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর এনএসডিএস (জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশল) প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে আমরা ডাটা দিয়ে সহযোগিতা করবো। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে  এক নম্বরে  ‘আমার গ্রাম হবে আমার শহর’, এটি বাস্তবায়নের জন্য গ্রামের সঠিক পরিসংখ্যান দরকার। আমরা গ্রামের সঠিক ডাটা তৈরি করবো। স্থানীয় পর্যায়ে ডাটা বের করে অনলাইনে দেবো।
 
দিলদার হোসেন আরো বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরো অনেক আধুনিক হয়েছে। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গাড়ি দেওয়া হয়েছে। সরকারের সহযোগিতায় বিবিএস অনেক শক্তিশালী হয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিকমানের ডাটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হতে চাই।
 
বিবিএস মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েনসহ সংশ্লিষ্টরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪,২০১৯
এমআইএস/জেডএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।