রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কথা জানান।
এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কাজ শুরু হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধিতা ও গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। এদের একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছিল। কারণ তাদের রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে ভাতা দেওয়া হতো।
‘কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর নিজামী-মুজাহিদরা সেই তালিকা খালেদা জিয়ার সহযোগিতায় সরিয়ে ফেলে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সেই বিরোধিতাকারী রাজাকার, আল বদর, আল সামসের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছি। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তালিকা তৈরি করে পাঠাতে। ’
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এই ৪৮ বছরে অনেক পট-পরিবর্তন হয়েছে। আমরা চাই না নিরপরাধ কারো নাম জড়িত হোক। আমরা রাজাকার, আল বদর, আল সামসের সঠিক তালিকা প্রকাশের কাজ করছি। অবশ্যই রাজাকার, আল বদর, আল সামসের তালিকা জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, গত সরকারের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা করার জন্য যাচাই-বাছাই এর কাজ শুরু হয়। অধিকাংশ উপজেলায় সঠিকভাবে তা হয়নি। যেসব উপজেলায় যথাযথভাবে হয়েছে সেগুলো প্রকাশ করা হবে।
‘নিশ্চয়তা দিতে পারছি না, আগামী ২৬শে মার্চের মধ্যে প্রকাশ করতে পারবো কি-না। তবে যত দ্রুত সম্ভব মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
এসকে/এমএ