নানান ব্যবসায়ী সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবক দল ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের শোকের পোস্টার দেয়ালে লেপ্টে রয়েছে। যে যার মত শোক প্রকাশ করেছেন।
'আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়'-লেখা নানান রংয়ের রঙিন ও সাদাকালো পোস্টার চোখে পড়ে আশপাশের সব দেয়ালে।
এছাড়াও ছোট ব্যানারে লেখা আছে, প্রচারে সাধারণ এলাকাবাসী ' সব ধরনের কেমিকেল ও দাহ্য পদার্থের গোডাউন অপসারণ চাই'।
ওয়াহেদ ম্যানশন ও চুড়িহাট্টায় শাহী মসজিদ সংলগ্ন প্রবেশের চার মুখেই উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশের ব্যারিকেড থাকার পরেও মানুষের ঢল নেমেছে এ পথে। নারী-পুরুষ, ছেলে-বুড়ো সবাই সকাল থেকেই পুড়ে যাওয়া এই স্থাপনা দেখতে ভিড় জমিয়েছে।
ভবনটি অগ্নিকাণ্ডে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যেকোন মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা থাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীরা তাদের সরিয়ে দিলেও কোনো না কোনোভাবে তারা ভেতরে ঢুকে পড়ছেন। নাগরিক সেবাসমূহ স্বাভাবিক করতে কাজ করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
আরমানিটোলা থেকে রফিকুল এসেছেন আগুন লাগা ভবনটি দেখতে। কেন দেখতে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পাশের এলাকায় থাকি। একই এলাকায় এমন ঘটনা খুব কষ্ট পেয়েছি তাই এসেছি। তবে ঢুকতে পারছি না।
উপস্থিত এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি, এখানে শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কিছু যাতে না ঘটে তাই আমরা সাংবাদিক ও অনুমতি ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না।
স্বেচ্ছাসেবক মিলন প্রবেশ মুখে দাঁড়িয়ে থাকাদের মাইকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করছেন কিন্তু তাতেও তেমন লাভ হচ্ছে না বলেন তিনি।
ছেলে-মেয়েসহ আসমা বেগম এসেছেন পুড়ে যাওয়া ভবনটি দেখতে। তিনি বলেন, এমন ঘটনায় দূরে থাকতে পারিনি তাই চলে এসেছি দেখতে।
এরই মধ্যে ব্যবসায়ী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে ওয়াহেদ ম্যানশনের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে কেমিকেল অপসারণ। ট্রাকে লোড করে সেগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
ডিএসএস/আরএ