এদিন বিকেল ৩টায় চুড়িহাট্টা মোড়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে তারা মানববন্ধন করে। চুড়িহাট্টা একতা সংঘ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
অগ্নিকাণ্ডে নিহত ওয়াসি উদ্দিন মাহিদের চাচাতো ভাই সৈনিক বলেন, নিমতলী ট্র্যাজেডি থেকে আমরা কোনও শিক্ষা নেইনি, এ কারণে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমার চাচাতো ভাই মাহিদ ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।
তিনি বলেন, চুড়িহাট্টা এলাকায় কোনও কেমিক্যাল, রাসায়নিক, কসমেটিকসের গোডাউন থাকবে না। এগুলো খুবই ক্ষতিকর, যেভাবেই আগুন লাগুক, এখানে রাসায়নিকের গোডাউনের কারণে আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে গেছে। ৬৭ জন মানুষ মারা গেছেন।
স্থানীয় ভবন মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সৈনিক বলেন, আপনারা কোনও কেমিক্যাল গোডাউন ভাড়া দেবেন না। এখনও যদি কোনও ভবনে কেমিক্যাল, রাসায়নিকের গোডাউন থাকে তবে সেগুলো সরিয়ে ফেলুন। বুড়িগঙ্গার পাড়ে চলে যান, সেখানে কোনও সমস্যা নেই। তবে এলাকায় কোনও রাসায়নিকের গোডাউন থাকতে দেওয়া হবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা ও চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস সুমন বলেন, দাহ্য রাসায়নিকের কারণে চুড়িহাট্টায় আগুনের ভয়াবহতা বেড়েছে। আমরা কেমিক্যাল গোডাউন ও কসমেটিকস গোডাউন চাই না।
তিনি বলেন, মাত্র ১০ শতাংশ কেমিক্যাল গোডাউনের কারণে ৯০ শতাংশ মানুষ বিপদে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। এলাকার হোটেলগুলোতে সরকারি গ্যাস লাইনের সংযোগ চাই। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে হোটেলে রান্না করা বন্ধ করতে হবে।
মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দা আজফার উজ্জামান সোহরাব বলেন, এলাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন উচ্ছেদ করতে হবে। কোনও কারণে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমরা কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের ক্ষতি চাই না। তারা ব্যবসা করবে করুক, কিন্তু পাড়া-মহল্লার সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে নয়। ব্যবসায়ীরা নদীর পাড়ে চলে যাক, সেখানে গোডাউন করলে কোনও সমস্যা নেই। তারা ব্যবসা করুক, আমরাও ভালো থাকি।
মানববন্ধন শেষে একটি কালো পতাকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোড হয়ে চুড়িহাট্টা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
ডিএসএস/আরবি/