তিনি বলেছেন, রাজউক যত্রতত্র দালান-কোঠার অনুমোদন দিয়ে রাজধানীকে নষ্ট করে ফেলেছে। এর ফলে আজ চকবাজারের মতো ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অগ্নিকাণ্ড পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় শিল্পমন্ত্রী নরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্পসচিব আবদুল হালিমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা (রাজউক) ঘরে বসেই লাইসেন্স দেন, সার্টিফিকেট দেন। মাঠে যান না। এক মাস পর পর তদারকি করার কথা ছিল, কেউ করে না। এখন পুরান ঢাকার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অযথা ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা যাবে না। হয়রানি না করে তাদের সময় দেন, তারা যেনো সহজে চকবাজার থেকে স্থানান্তরিত হতে পারে।
রাজউকের কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট হয়ে কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, রাজউকের ওপর আল্লাহর অভিশাপ রয়েছে। রাজউক কারণে অকারণে লোকজনের শত শত জমি অধিকরণ করে ভূমিহীন অসহায় বানিয়ে ফেলছে। তাই অনুরোধ রইলো আপনারা কাউকে ভূমিহীন করবেন না।
তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান, যারা ট্রেড ইউনিয়ন করে, তারা কাজ করে না। ফলে এক থেকে দেড়শ লোক কাজ না করায় প্রতিষ্ঠান রুগ্নতায় ভুগছে। এটি আর চলতে দেওয়া যাবে না। এখন থেকে যারা ট্রেড ইউনিয়ন করবে, তাদের কাজ করতে হবে।
এসময় শিল্পসচিব আবদুল হালিম বলেন, কেমিক্যালের গোডাউন ঢাকার আশপাশে দ্রুত সরানো হবে। আমরা দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়ায় না গিয়ে স্বল্প মেয়াদি প্রক্রিয়ায় যেতে চাই। কেমিক্যাল নগরীর জন্য ছয় মাসের মধ্যে জমি নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
জিসিজি/টিএ