ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে আকস্মিক ঝড়ে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
বাগেরহাটে আকস্মিক ঝড়ে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি ঝরে পড়া আমের মুকুল। ছবি-বাংলানিউজ

বাগেরহাট: হঠাৎ ঝড় ও বৃষ্টিতে বাগেরহাটের বেশিরভাগ আম গাছের মুকুল ঝরে পড়েছে। এতে অধিকাংশ গাছে আশানুরূপ আম না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে শুরু হয় বৃষ্টি। সেই সঙ্গে ঝড়।

এতেই ঘটে বিপত্তি। জেলার সব এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঝড়ে ধান ছাড়া অন্যান্য ফসল ও ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া শীতের শেষে হঠাৎ বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। দিনমজুররা কাজ করতে না পেরে ফিরে এসেছে বাড়িতে। ফলে রোজগার হয়নি অনেকের।

শহরের সোনাতলা এলাকার বাসিন্দা স্কেন্দার আলী জানান, মেঘের গর্জনে ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে কিছুক্ষণ পর দেখি চারদিকে অন্ধকার। বিদ্যুতের ঝলকানি আর ঝড়ো হাওয়া বইছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, বাগানের গাছের আমের মুকুল, ছফেদা সব কিছু নিচে পড়ে আছে। শীতের শেষে হঠাৎ এ বৃষ্টিতে আমাদের ক্ষতি হয়ে গেলো।

স্থানীয় মোল্লা মাসুদুল হক বলেন, বজ্রপাত ও বৃষ্টিতে গাছের লেবুগুলো ঝড়ে পড়েছে। লাউগাছের লতা পড়ে গেছে। আমের মুকুল ঝরে পড়ায় খুব ক্ষতি হয়েছে। এ মৌসুমে নিজের গাছের আম খেতে পারবো কি না সন্দেহ আছে।

হতদরিদ্র মহিদুল ইসলাম বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির জন্য বস আজকে কাজ করতে নিষেধ করলেন। তাই বাসায় চলে আসছি।

শহরের ব্যস্ততম মোড় মিঠাপুকুর পাড়ে রিকশার হুড তুলে বসে থাকা চালক জহির উদ্দিন বলেন, সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়ে বসে আছি। কোনো যাত্রী পাচ্ছি না। আকস্মিক বৃষ্টিতে লোকজন জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। তাই তেমন আয় হচ্ছে না।

কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, ঝড়ে সামান্য কিছু ক্ষতি হলেও বৃষ্টিতে কৃষির উপকারই বেশি হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে ঝড় না হয়ে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ধানের ফলন ভালো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।