সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে শুরু হয় বৃষ্টি। সেই সঙ্গে ঝড়।
শহরের সোনাতলা এলাকার বাসিন্দা স্কেন্দার আলী জানান, মেঘের গর্জনে ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে কিছুক্ষণ পর দেখি চারদিকে অন্ধকার। বিদ্যুতের ঝলকানি আর ঝড়ো হাওয়া বইছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, বাগানের গাছের আমের মুকুল, ছফেদা সব কিছু নিচে পড়ে আছে। শীতের শেষে হঠাৎ এ বৃষ্টিতে আমাদের ক্ষতি হয়ে গেলো।
স্থানীয় মোল্লা মাসুদুল হক বলেন, বজ্রপাত ও বৃষ্টিতে গাছের লেবুগুলো ঝড়ে পড়েছে। লাউগাছের লতা পড়ে গেছে। আমের মুকুল ঝরে পড়ায় খুব ক্ষতি হয়েছে। এ মৌসুমে নিজের গাছের আম খেতে পারবো কি না সন্দেহ আছে।
হতদরিদ্র মহিদুল ইসলাম বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির জন্য বস আজকে কাজ করতে নিষেধ করলেন। তাই বাসায় চলে আসছি।
শহরের ব্যস্ততম মোড় মিঠাপুকুর পাড়ে রিকশার হুড তুলে বসে থাকা চালক জহির উদ্দিন বলেন, সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়ে বসে আছি। কোনো যাত্রী পাচ্ছি না। আকস্মিক বৃষ্টিতে লোকজন জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। তাই তেমন আয় হচ্ছে না।
কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, ঝড়ে সামান্য কিছু ক্ষতি হলেও বৃষ্টিতে কৃষির উপকারই বেশি হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে ঝড় না হয়ে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ধানের ফলন ভালো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এসআই