ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘এলসি বন্ধ হলেই পুরান ঢাকা ছাড়বেন ব্যবসায়ীরা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
‘এলসি বন্ধ হলেই পুরান ঢাকা ছাড়বেন ব্যবসায়ীরা’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, সরকার চাইলে পুরান ঢাকার সব কেমিক্যাল আমদানি বন্ধ করা যেতে পারে। কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের ব্যাংকের এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলা বন্ধ করা যায়, তাহলে তারা পুরান ঢাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হবেন।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এনবিআর সম্মেলন কক্ষে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সেরা করদাতা প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ বলেন, আমি শিল্প মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকালে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের জন্য বিসিকের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জে জমি প্রস্তুত করেছিলাম।

যদিও জমি পেতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এখন সরকারিভাবে ঘোষণা করতে হবে পুরান ঢাকায় আর কোনো কেমিক্যাল আমদানি নয়। একইভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের এলসি খোলা বন্ধ করতে হবে। তাহলে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা নিজেরাই সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হবেন। আর প্রাণহানির সম্ভাবনাও থাকবে না।

তিনি বলেন, এ বছর বাজেটের আকার বেশি হওয়ায় আমাদের চ্যালেঞ্জ বেশি ছিল। গত বছরের তুলনায় এবার কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ শতাংশ বেশি। আমরা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি, গ্রোথ বেড়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের গ্রোথ ছিল ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত সাত মাসের তুলনায় জানুয়ারিতে গ্রোথ বেড়েছে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৮ সালের জানুয়ারির তুলনায় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কাস্টমসে আহরণের গ্রোথ হয়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি, কর ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি, ইনকাম ট্যাক্স ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি। আগামী পাঁচ মাসে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা পেলে কর বেড়ে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের এগিয়ে যেতে হলে কর দিতে হবে। গত বছরের মেলার  চেয়ে এবার ৪০ শতাংশ বেশি হয়ে মোট সাত কোটি এক লাখ টাকা কর আদায় হয়েছে। ২০১৮ সালে যেটা ছিল ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা।

সম্মাননা প্রাপ্ত সেরা করদাতা প্রতিষ্ঠান গুলো হলো হাতিল কমপ্লেক্স, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এসকোয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড,  র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেড, আরএফএল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড, নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড ও রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা পশ্চিমের কমিশনার ড. মইনুল খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই)  সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য, এনবিআর সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) শাহনাজ পারভীন, প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
ইএআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।